ইরানের ওপর একতরফা হামলা করেছিল ইজরায়েল। আমেরিকার সঙ্গে ইরানের আলোচনা প্রক্রিয়া চালুও ছিল তখন। ইজরায়েলের সঙ্গেই যোগ দেয় আমেরিকা। সেই হামলার নিন্দা থেকে বিরত থাকল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংঘর্ষ বিরতিকে স্বাগত জানিয়ে ভারত বলল আলোচনা এবং কূটনৈতিক পথে সমাধানের কোনও বিকল্প নেই।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের মার্কিন ঘেঁষা নীতিই ফের স্পষ্ট করেছে মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতি। মঙ্গলবার পশ্চিম এশিয়া সংক্রান্ত বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ভারত গোটা এলাকার আঞ্চলিক সুরক্ষা এবং স্থিরতায় উদ্বিগ্ন। এই অবস্থায় সংঘর্ষ বিরতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংঘর্ষ বিরতিকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত।
ইরান ও ইজরায়েলের সংঘর্ষ বিরতিতে আমেরিকা এবং কাতারে ভূমিকাকে বিবৃতিতে স্বাগত জানিয়েছে ভারত।
বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, এই অঞ্চলের বিভিন্ন বিরোধ নিরসনে কূটনীতি এবং আলোচনা প্রক্রিয়ার কোনও বিকল্প নেই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত এই প্রচেষ্টায় ভূমিকা নিতে আগ্রহী। আশা করা যায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই শান্তি ও স্থিরতার প্রশ্নে ভূমিকা নেবে।
ভারতের এই নরম অবস্থানে ইজরায়েল এবং আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনো কথাই নেই। অথচ পশ্চিম এশিয়ায় অস্থিরতার হাত ধরে সরাসরি অর্থনৈতিক বিচারে বরাবর সমস্যায় পড়ে ভারত। অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি থেকে বাণিজ্য অস্থিরতার মতো একাধি ক্ষেত্রে রয়েছে প্রভাব। বহু ভারতীয় এই অংশে দেশগুলিতে কর্মরত। সে দিক থেকেও সমস্যা রয়েছে।
এর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘেও গাজায় আগ্রাসনের প্রশ্নে ইজরায়েল-আমেরিকা অক্ষের পক্ষে থেকেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। প্যালেস্তাইনের জনতার স্বাধীন রাষ্ট্রের সঙ্গত দাবিকে জোরালো সমর্থনের রাস্তা থেকে কার্যত সরে আসা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভূমিকা সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ থেকেছে। মোদীর সময়ে আমেরিকার অনুগত সঙ্গী হওয়ার নীতিতে জোর দেওয়ায় ভারতের সেই প্রাসঙ্গিকতা প্রশ্নের মুখে।
বিদেশ মন্ত্রক এদিন জানিয়েছে ইরান থেকে মোট ২৫৭৬ ভারতীয়কে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। এদিন ভারতীয়দের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ৩ এবং নেপালের এক নাগরিককেও দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
India on West Asia
সংঘর্ষ বিরতিকে স্বাগত জানালেও আগ্রাসনের নিন্দা করল না ভারত

×
Comments :0