Maldah girl brutally thrashed

এবার মালদহে পাশবিক নির্যাতন তরুণীর ওপর

জেলা

আরজি কর কান্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য। তার মধ্যেই একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই বর্ধমানে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে তার মধ্যেই গতকাল আবারও মালদহে পাশবিক হামলা তরুণীর ওপর।
গতকাল বুধবার পিতৃহীন ঐ মেয়েটি পাশের গ্রামে তার দিদার বাড়ী যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। টোটো করে যাওয়ার জন্য বের হওয়ার সময়  মেয়েটিকে তার মা টোটো ভাড়া দেন। বাড়ি থেকে বের হয়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলনগড় ষ্টেশনের কাছে দেখতে পায় এলাকার মানুষ। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মেয়েটি মারা যায়নি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে ওখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালের ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে রয়েছেন সঙ্গে তার মা রয়েছে।
১৫ আগস্ট রাজ্যে মেয়েদের নিরাপত্তা, বয়স যাই হোক না কেন, নিরাপত্তার বিষয়টি এক বড় রকমের প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। আর জি কর হাসপাতালে এম ডি পাঠরত এক মহিলা চিকিৎসককে হাসপাতালের  সেমিনার হলে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্য ও দেশ যখন তোলপাড় হচ্ছে তখন হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি এলাকার বছর ১২-র চতুর্থ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর উপর দুষ্কৃতীদের বীভৎস আক্রমণে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় ও জেলায়। মেয়েটি এখন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটিকে দেখেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা রুণু কুন্ডু, ডিওয়াইএফাই-এর জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম, সম্পাদক অরূপ পোদ্দার  সদস্য মধুরিমা, এস এফ আই এর অর্ণব দাস। তারা মেয়েটির বিষয়ে খোঁজ খবর নেন ও মেয়েটির মায়ের সাথে কথা বলেন ও সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। জানা গেছে এই ঘটনার সাথে যুক্ত সন্দেহে পুলিশ পবন দাস নামে এক যুবককে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই এর পক্ষ থেকে আর জি কর ও দৌলতপুরের ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডি ওয়াই এফ এর জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম সহ ব্লক ছাত্র - নেতৃত্ব। তারা রাজ্যের বর্তমান নারকীয় পরিস্থিতিকে ধিক্কার জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই সাথে তারা এই সমস্ত ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রীকে দায়ী করে থানার সামনে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

Comments :0

Login to leave a comment