টানা বৃষ্টিতে জলঢাকা নদীর বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ধূপগুড়ি ব্লকের বগরিবাড়ি ও চরচরাবাড়ি এলাকা। শনিবার গভীর রাতে নদীর জল হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ভেঙে দেওয়াল ভাঙা স্রোতে ভেসে যায় গ্রামের পর গ্রাম। প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় দুই থেকে তিন হাজার মানুষ জলবন্দী হয়ে পড়েন। আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে গ্রামবাসীরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গধেয়ারকুটি স্কুল ও আশেপাশের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন। সকালে ত্রাণ শিবিরে ভিড় জমালেও দুপুর ১টা পর্যন্ত তাদের হাতে পৌঁছয়নি পর্যাপ্ত খাবার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ত্রাণের নামে শুধুমাত্র শুকনো মুড়ি ও গুড় দেওয়া হয়। এমন চরম অব্যবস্থার মধ্যেই পরিস্থিতি দেখতে বিকেলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দুর্গত মানুষজন।
ত্রাণ শিবিরে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের অভিযোগের সময় প্রশাসনের কোনো আধিকারিককে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। পরে মন্ত্রী তড়িঘড়ি প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেন ত্রাণ ব্যবস্থার ঘাটতি দূর করতে এবং শিবিরে সঠিকভাবে খাদ্য ও জল পৌঁছে দিতে। এরপরে সন্ধ্যায় স্থানীয়দের উদ্যোগে দুর্গতদের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ত্রাণ বিতরণে এই অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য স্থায়ী সাহায্যের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
Flood-Hit North Bengal
ত্রাণে শুধু শুকনো মুড়ি ও গুড়, মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ

×
Comments :0