কবিতা | মুক্তধারা
শীতের সকালে
প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী
অরুণ তখন আড়মোড়া ভাঙে
পৌষালী কাঁথা গায়ে
কুয়াশা চাদরে জড়াজড়ি শীত
ঊষার ঘুমটা ভাঙায়,
দৃষ্টি ঢেকেছে শুভ্র পাঁচিল
এসেছে নম্র পায়ে
দূর্বা শরীরে শৈত প্রবাহ
সবারে আজকে জাগায়।
পুকুরের পাড়ে জটলা সবার
জলেতে কিসের ধোঁয়া!
বিস্মিত সব তাকায় সেদিকে
জলে কি লাগলো আগুন?
কুণ্ডলি করে সব ওপরে ওঠে
এমনই শীতের ছোঁয়া
কোনো একজন ডুব দেয় জলে
তার মনে কি লাগলো ফাগুন!!
পুকুরের পাড়ে খেঁজুরের সারি
কলসী ওপরে বাঁধা
কঞ্চির ডগে রস ঝরে যায়
ভরেছে জিরেন রস ,
নিয়ামত আসে রস পেড়ে নেয়
এ নয়তো গোলোকধাঁধা
আগুনের তাপে নলেনের পাক
সব হৃদয়কে করে বশ।
দূরে কত ফুল গোলাপ গাঁদা
রঙে রূপে পরিপূর্ণ
এত এত রঙ শীত নেচে যায়
গান গায় অসীমের,
উল্লাসে সব শীত করে জয়
তার যৌবন সুধা চিহ্ন
ওরা নম্র চিত্তে গায়ে মেখে নেয়
সোনা রোদ সকালের।
ভরা রোদ মেখে বিশেষ দুজন
শীতে করে অবহেলা
যৌবন তাপ শরীরে ঝরায়
চলে মজাদার খুনসুটি
নম্র চরণে কুয়াশাকে ছেড়ে
করে অসীমের সাথে খেলা
সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে রাঙা বৈভবে
কত ফুল ওঠে ফুটি ।
প্রকৃতি এখনও চেতনে সবুজ
গড়ে কত প্রেম প্রাসাদ
দুটি হৃদয়ের প্রেমের বাগানে
ফোটে কত ফুল সকালে ,
তারা উচ্ছল , রঙে উজ্জ্বল
তারা জানে নাকো অবসাদ
শীতের সকালে যৌবন ক্ষুধা
প্রেমিক হৃদয়ে মাতালে।
Comments :0