RG Kar Calcutta High Court

‘রাজ্য বনাম সিবিআই’ শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত হাইকোর্টে, পরিবারের ক্ষোভ তদন্তেই

রাজ্য কলকাতা

রাজ্য না সিবিআই- সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির জন্য কার আবেদন গ্রহণ করা হবে সেই মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতিরা সোমবার এই মামলার শুনানিতে বলেছেন, দু’টি আবেদনেরই তো বিষয়বস্তু এক। তা হলো নিম্ন আদালতে যাকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে তার ফাঁসি। তা’হলে একে অন্যের বিরুদ্ধে এত আইনি সওয়াল জবাব কেন?
এদিনই রায়দান স্থগিত হওয়ার ঘোষণার পর ফের রাজ্যের পুলিশ এবং কেন্দ্রের সিবিআই, দু’পক্ষকেই দায়ী করেছে পরিবার। আরজি করে কর্মরত অবস্থাব ধর্ষণ এবং খুন চিকিৎসকের বাবা বলেছেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ ফিরিয়ে দিয়েছে। তারপর সিবিআই ডোবালো, আমরা কার কাছে যাব?’’
এদিন হাইকোর্টে সিবিআই’র পক্ষে সওয়ালে বলা হয় যে তারাই আর জি কর কাণ্ডে তদন্তের দায়িত্বে। তারাই শিয়ালদহ আদালতে মামলা দায়ের করেছিল। তার ভিত্তিতেই রায় হয়েছে। ফলে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফাঁসির আবেদন জানানো এক্তিয়ার তাদেরই। সোমবার শুনানি শেষ হয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চে। 
উলটোদিকে রাজ্য সরকার বলেছে যে ৯ আগস্ট চিকিৎসক ছাত্রীর দেহ হাসপাতালে দেখতে পাওয়ার পর গোড়ায় তদন্তের দায়িত্বে তারাই ছিল। তারাই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল। তারই ফাঁসির আবেদন রাজ্যও জানাতে পারে। 
পরিবার এদিনও প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ এবং সিবিআই’র তদন্ত নিয়েই। নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেছেন, ‘‘এই অপরাধে জড়িত বাকি যারা তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কঠিন শাস্তি দিতে হবে প্রত্যেককে।’’
সঞ্জয়ের ফাঁসির শাস্তি চান কিনা, এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘এ সম্পর্কে আদালতে আমাদের উকিল যা বলার বলবে।’’
চলতি সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে। পরিবারের পক্ষে তদন্ত প্রক্রিয়া ঘিরে একগুচ্ছ প্রশ্ন দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও অন্য অপরাধীদের ধরতে তদন্তে নজরদারির জন্য আবেদন জানিয়েছে পরিবার। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি প্রয়োজন। পরিবার বলেছে, সুপ্রিম কোর্ট পরের শুনানিতে কী বলে তার ভিত্তি পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।

Comments :0

Login to leave a comment