উত্তর ভারতে বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত জনজীবন। দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ড সহ একাধিক শহরে টানা বৃষ্টির জল জমেছে। জলস্তর বেড়েছে যমুনাতে। ধস, হড়পা বান ও বৃষ্টিতে গত তিনদিনে ইতিমধ্যে প্রান গিয়েছে ৩৪ জনের। উত্তর ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বৈঠক করেছেন প্রদানমনত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, হিমাচলপ্রদেশ দিল্লির সংস্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আবহাওবা দপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাষ অনুযায়ী এই সমস্ত রাজ্যে আরও বৃষ্টি হবে আগামী ২৪ ঘন্টায়।
রজ্যগুলির মধ্যে সব থেকে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশে। সেখানে লাল সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। সে রাজ্যের সমস্ত নদীর জল বিপদ সীমার ওপর থেকে বইছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু আগামী ২৪ ঘন্টায় সে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে যতটা সম্ভব ঘরের মধ্যে থাকারই নির্দেশ দিয়েছে। স্কুল, কেলজ সহ সমস্ত বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সরকারি দপ্তর গুলোতেও সিমিত কাজ হবে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তৈরি রয়েছেন বলে তিনি জানান।
হিমাচল প্রদেশে ৫০ বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙেছে বৃষ্টি। উনা ও সোলান জেলায় বৃষ্টি হয়েছে সর্বাধিক। রাস্তায় গাছপালার সঙ্গে খড়কুটোর মতে ভেষে যেতে দেখা যাচ্ছে গাড়ি। বৃষ্টিতে দিল্লি শহরের একাধিক জায়গায় জল জমেছে। জলমগ্ন আন্ডারপাস গুলোও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন যমুনার জল আরও বাড়লে জল জমবে দিল্লির শহরেরও। সেক্ষেত্রে নিচু এলাকার জন সাধারণকে আগে সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। দিল্লি ও উত্তরাখন্ডে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে লাদাখ ও জম্মু কাশ্মীরেরও। বৃষ্টিতে ধসের সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবাহাওয়া দপ্তর।
Comments :0