Jalpaiguri Red Volunteers

জলপাইগুড়িতে অ্যাম্বুল্যান্সে ঘুরে চিকিৎসা দিচ্ছে রেড ভলান্টিয়ার্স

জেলা

মোবাইল মেডিক্যাল ক্যাম্প জলপাইগুড়ির বন্যা দুর্গত এলাকায়।

রেড ভলেন্টিয়ার্স’র উদ্যোগে জলপাইগুড়িতে শুরু হলো ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা পরিষেবা। 
জেলার বন্যাদুর্গত মানুষ সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না। এই অভিযোগ জানিয়ে বুধবার জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সিপিআই(এম)। 
বৃহস্পতিবার থেকে রেড ভলেন্টিয়ার্স চালু করেছে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। 
জেলা সিপিআই(এম) কার্যালয় থেকে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৌশিক ভট্টাচার্য, এরিয়া সম্পাদক দেবরাজ বর্মন, জেলা নেতা বিপুল সান্যাল, শিক্ষক নেতা বিপ্লব ঝা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পীযূষ মিশ্র বলেন, দুর্গত এলাকায় মানুষকে পানীয় জল থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ায় রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী দু’বার উত্তরবঙ্গে এলেও বাস্তবে কোনও উন্নতি হয়নি। তাই ছাত্র-যুবদের উদ্যোগে আজ এই ভ্রাম্যমান চিকিৎসা পরিষেবার সূচনা করা হলো। 
বৃহস্পতিবার দুপুরে অ্যাম্বুল্যান্সটি এসএফআই’র মেডিক্যাল টিম নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। 
এসএফআই জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক অরিন্দম ঘোষ জানান, প্রথম দিনে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির উদ্যোগে কলকাতা থেকে আগত চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টদের একটি দল—সুধানীল সরকার, অনির্বাণ মণ্ডল, মাসুদ গাজী, পৃত্বিরাজ বারুই ও বিতান ইসলাম— মেটেলির বামনী বস্তি এলাকায় পৌঁছে অসংখ্য দুর্গত মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন।
চিকিৎসা শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্ব সাব্বির হোসেন, অরিন্দম ঘোষ, পাপাই মহম্মদ, স্নেহা দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে সিপিআই(এম) ও তার গণসংগঠনগুলি বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে থেকে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রেড ভলেন্টিয়ার্স-এর সদস্যরা ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ, মাল, মেটেলি ও নাগরাকাটা ব্লকের একাধিক বন্যাদুর্গত গ্রামে খাদ্য, পোশাক ও পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। 
গত সপ্তাহে ডিওয়াইএফআই ও এসএফআই-এর যৌথ উদ্যোগে মেটেলি ব্লকের ঝলং ও বিন্নাগুড়ি এলাকায় ৫০০টিরও বেশি দুর্গত পরিবারকে শুকনো খাবার, ওষুধ ও প্রাথমিক ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এআইডিইএফ-এর উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বই-খাতা ও পড়াশোনার সামগ্রী দেওয়ার কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
পীযূষ মিশ্র বলেন, “মানুষের বিপদের সময় পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। প্রশাসন ব্যর্থ হলেও আমরা আমাদের সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।” 
আগামী কয়েকদিন এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা পরিষেবা মেটেলি, নাগরাকাটা, রাজগঞ্জ ও ময়নাগুড়ি এলাকায় চলবে।

Comments :0

Login to leave a comment