মলয়কান্তি মণ্ডল ◽ রানিগঞ্জ
কয়লা শিল্প বাঁচানোর স্বার্থে এবং কয়লা শ্রমিকদের উপর শোষণ ও বঞ্চনার প্রতিবাদে ইসিএল'র সদর দপ্তর সাকতোড়িয়া অভিযানের ডাক দিয়েছে ভারতের কোলিয়ারী মজদুর সভা। সিআইটিইউ অনুমোদিত এই সংগঠনের ডাকে কর্মসূচি ঘিরে কয়লা খনি এলাকায় তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে।
রাত পোহালেই লালঝান্ডা নিয়ে দলে দলে সামিল হবেন কয়লা খনি শ্রমিকরা। আয় ভাগাভাগি মডেল বা ‘রেভেনিউ শেয়ারিং’-র নামে কেন্দ্রীয় সরকারের কয়লা খনি বেসরকারিকরণ চক্রান্ত চালাচ্ছে। সেই মতলব রুখে দিতে খনি শ্রমিকদের সাথে হাজির হবেন আমজনতাও।
কোল ইন্ডিয়া ইসিএল বেসরকারি মালিকের হাতে চলে গেলে কয়লা মহার্ঘ হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষকে চড়া দামে কিনতে হবে বিদ্যুৎ।
বিজেপি সরকারের এই কৌশলের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াইয়ের ময়দানে আছে ভারতের কোলিয়ারি মজুর সভা। প্রতিদিনই চলছে পিটসভা, কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগের শ্রমিকদের গ্রুপসভা। এই সভাগুলিতে আলোচনা হচ্ছে, রানিগঞ্জ কয়লঞ্চল জুড়ে খনিগুলিতে ইসিএল'র উন্নত মানের লক্ষ লক্ষ টন কয়লা মজুত থাকা সত্ত্বেও ইসিএল’র কয়লা উৎপাদন না করে কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দিতে চাইছে। লড়াকু শ্রমিকরা বলছেন, " মোদি সরকার কা তানাশাহি নেহি চলেগা ।"
ধস, গ্যাসের সমস্যা কয়লাঞ্চলের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ধস প্রবণ এলাকাগুলিতে আতঙ্ক বাড়ছে। পুনর্বাসনের দাবি উঠেছে। ইসিএলের সাকতোড়িয়া দপ্তরে ঝাণ্ডা, প্লাকার্ড,ব্যানার নিয়ে দাবির কথা তুলে ধরবে সি এম এস আই (সিআইটিইউ)। কয়লা শিল্প বাঁচানোর লড়াই আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গের উৎসকেন্দ্র সাকতোড়িয়া অভিযানের প্রস্তুতিপর্ব। কয়লাঞ্চলজুড়ে আওয়াজ উঠেছে, " ইসিএল বাঁচাও, গ্রাম-শহর বাঁচাও।"
Comments :0