উত্তরবঙ্গে বিপন্ন মানুষের কাছে চিকিৎসকদের দল যাবে। ছাত্র-যুবরা যাচ্ছেন। রেড ভলান্টিয়ার্সরা নেমেছে এবং নামবে। পাহাড়েও দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি দাবি করেছে দার্জিলিঙ, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে এই বিপর্যয়কে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করতে হবে।
এদিন কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেছেন মহম্মদ সেলিম।
এর মধ্যেই দার্জিলিঙ জুড়ে ত্রাণ সংগ্রহের ডাক দিয়েছে সিপিআই(এম)। সারা রাজ্যে এই উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন সেলিম।
সেলিম বলেন, হিমালয় অঞ্চলে প্রকৃতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। উত্তর ভারতে আমরা দেখেছি। এখন উত্তরবঙ্গে দেখছি। সেলিম বলেন, গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে। তিস্তার গতিপথ রুদ্ধ করেছে নানা প্রকল্পের নাম করে। একদিকে তিস্তা প্রকল্প বাতিল করেছে মোদী ও মমতা সরকার।
সেলিম বলেন, অন্যদিকে তিস্তাকে নির্বিচারে লুঠ করা হচ্ছে। তার বিপদের মুখে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। নির্মাণের নাম করে ঠগবাজি চলছে। যা পরিকাঠামো আছে তার রক্ষণাবেক্ষণ নেই। দুধিয়া সেতু ভেঙে পড়েছে সে কারণেই। পূর্বাভাস ছিল দুর্যোগের। ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মানুষকে সরানো হয়নি।
সেলিম বলেন, দক্ষিণবঙ্গে নদী থেকে বেআইনি বালি লুট করা হচ্ছে। জলধারণ ক্ষমতা কমছে। মানুষ ভুগছেন। উত্তরবঙ্গেও একই ছবি।
যাঁরা মারা গিয়েছেন এবং আহত, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানান সেলিম। আহতদের চিকিৎসার দাবি তোলেন সেলিম। বিপন্নদের ঘর বন্টনের দাবি জানান তিনি। পুনর্নিমাণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ঠগবাজি যাতে না হয়।
সেলিম নাগরাকাটায় বিজেপি প্রতিনিধিদলের ওপর হামলার নিন্দা করে বলেন, এই আরএসএস-মার্কা সংস্কৃতি আমদানি করা হয়েছে। বিরোধীরা আর্ত মানুষের কাছে যেতে চাইলে আটকানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কেবল ত্রাণ সংগ্রহের উদ্যোগকে স্বাগত জানালে হবে না। এই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
Md Salim Flood
জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি, রাজ্যজুড়ে ত্রাণে নামার আহ্বান সেলিমের

×
Comments :0