বিশ্বনাথ সিংহ : রায়গঞ্জ
শাসকদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলা, কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। সেরকমই একটি অভিযোগ এবার রায়গঞ্জে। দাবি মতো তোলার টাকা না পেয়ে চায়ের দোকান জেসিবি দিয়ে গুড়িয়ে দিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের অনুগামী দুষ্কৃতীরা। শনিবার এমনই অভিযোগ করেছেন প্রায় ৩০ বছর ধরে দোকান চালানো রায়গঞ্জের বড়ুয়া পঞ্চায়েতের কানাইপুরের এক অসহায় মহিলা সহ আরও কয়েকজন দোকান মালিক। অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অসহায় মহিলাকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ গ্রামের মানুষ। গত ২৩ আগস্ট ঘটনাটা ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের কানাইপুরে। এতোদিন শাসক দলের ভয়ে মুখ বুঝে ছিলন ওই চায়ের দোকানের মালিক।
শনিবার অভিযোগ জানাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীর মালিকের মেয়ে মৌসুমী সাহা বলেন, ‘‘ঘটনাটা ২৩ আগষ্ট থেকে। মায়ের ছোট্ট চায়ের দোকান, সেখানে বিস্কুট পুরি বিক্রি করে সংসার চালান। ভেস্ট ল্যান্ড জায়গায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে দোকান চলছে। বহু পুরনো বলে টিনগুলি ঝলসে গেছে। মেরামতির জন্যে সেগুলো খোলা হয়। তখন কিছু যুবক এসে মায়ের দোকান বেদখলের চেষ্ট করে। নিরুপায় হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে হুমকিও দেয়। ধর্ষণ করার হুমকি দেয়। আই সি সাহেবের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেলেও দাবি মতো টাকা দিতে না পেরে একটা নয় ৫ টা দোকান জেসিপি দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। ভোররাতে পরপর পাঁচটা দোকান জেসিবি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এই দোকান দিয়েই আমাদের সংসার চলতো, এখন বড্ড অসহায় লাগছে।’’
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের স্বামী। শনিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই রায়গঞ্জের বড়ুয়া পঞ্চায়েতের কানাইপুরের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় দোকানের মালিকরা একত্রিত হয়ে পঞ্চায়েত সদস্য জয়ন্তী বর্মন সহ তাঁর স্বামী তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ জমা দেন। খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
Comments :0