ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে এসে দুষণের জন্য চরম সমস্যায় পড়েছেন বিদেশি খেলোয়াররা। দিল্লির দূষণ নিয়ে লাগাতার খবর করছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম গুলো। সুপ্রিম কোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই নিয়ে। মুম্বাইয়েও বাড়ছে দূষণের মাত্রা।
কলকাতা। কলকাতায় বায়ু দূষণের হার কি কম? এই শহরের মানুষেরা কি নিরাপদ?
না।
কলকাতায় দিল্লির মতো ভয়ঙ্কর অবস্থা না হলেও এখানে বায়ু দূষণের হার অত্যন্ত খারাপ। বুধবার কলকাতার একিউআই ১৮২। পরিসংখ্যান অনুযায়ী শহরের একাধিক জায়গায় বায়ু দূষণের হার অত্যন্ত খারাপ। বুধবার বালিগজ্ঞের একিউআই ছিল ১৭৪, ঢাকুরিয়ায় ১৬৩, যাদবপুর ১৬৫, মার্কিন দুতাবাস ১৭৮।
একিউআই হলো এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডক্স বা বায়ুর গুনমান সূচক। বায়ুতে ধুলিকনার মাত্রা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কিনা তা এই সূচক থেকে বোঝা যায়। একাধিক বেসরকারি ওয়েবসাইটে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত বিষয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক পার্থিব বসুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘শীতের জন্য একটা দূষণ হয়। আমাদের এখানে গোড়া পোড়ার জন্য যে হয় তা নয়। এটা আবহাওয়ার সাথে অনেকটা জড়িত।’’ আদ্রতা কমে যাওয়ার কারণে এই সময় বাতাসে ধুলো উড়তে থাকে তার সাথে বায়ুর গতিবেগ কম থাকার কারণে তা বায়ুমন্ডলে থেকে যায়। যার ফলে দূষণের হার ক্রমশ বাড়তে থাকে।
অধ্যাপক বসু বলেন, ‘‘এই দূষণ থেকে বাঁচার জন্য মাস্ক পড়া অত্যন্ত দরকার। বিশেষ করে বাচ্চাদের এবং যাদের ফুসফুসের সমস্যা আছে।’’
পরিবেশবিদদের একাংশ মনে করছেন বিগত কয়েক বছরে কলকাতায় দূষণের হার বেড়েছে। সেই দূষণ মোকাবিলা করার জন্য সরকারি কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। একাধিক গাড়ি প্রতিদিন রাস্তায় ঘুরছে যাদের দূষণ বিধি মেনে চলছে না। এই সব কিছু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
Comments :0