Anubrata Tihar condition

উদগ্রীব অনুব্রত, কিন্তু ফোনে কথা বলতে তিহারে আবেদন করছে না কেউ!

রাজ্য জেলা

নিজের পরিচিতি পত্র দিয়ে নাম নথিভূক্ত করতে হবে। কর্তৃপক্ষ সেই আবেদনের ভীত্তি সময় নির্ধারন করে দেবেন। সেই নির্ধারিত সময় ফোনে কোনও বিচারধীন বন্দীর সাথে কথা বলতে পারবেন আগ্রহী আবেদনকারীরা। কিন্তু সেই আবেদন করার সাহস দেখাতে পারছেন না কোনও নেতাই। তাই তিহারে বন্দী অনুব্রত মণ্ডল উদগ্রীব হলেও উল্টো দিকে পাচ্ছেন না সারা। বীরভুম জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা ফাঁস করলেন দলের অন্দরের এমন ছন্নছাড়া দশা কথা। সেই নেতার চাঁচাছোলা বক্তব্য, ‘‘যারা এতদিন কেষ্টদার পাশে পাশে ঘুরে ক্ষীর খেয়েছেন, পাছে তাদেরও নাম জড়ায় এই ভয়ে তিহারে কেষ্টদার সাথে ফোনে কথাটুকু বলার জন্য সাহস পাচ্ছেন না।’’

অপরদিকে তিহারে অভ্যন্তরে অনুব্রত চরম অসুবিধায় পড়ার নানা সূত্র বাইরে আসছে। এই সব নানা খবর কানে এসেছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যার। 

শুক্রবার বেশ কিছুদিন আড়ালে থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন তিনি। বাড়ি ফিরেই বাবার এমন হালের জন্য মেজাজ হারিয়েছিলেন চরমভাবেই। বাড়িতে ভাংচুর পর্যন্ত করেছেন বলে জানা গেছে। শুনে দলের নেতারা তাঁর বাড়ি পৌছলের তাঁদের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ উগড়েছেন তিনি। গোটা ঘটনায় স্পষ্ট, নিজেরা যাতে বিপদে না পড়েন, তার জন্য অনুব্রতর সাথে নূন্যতম যোগসূত্রের নমূনা রাখতে চাইছেন না জেলা তৃণমূলের তাবড় নেতারা। যদিও দিন কয়েক আগেই কালিঘাটে হওয়া বীরভূম তৃণমূলের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে মমতা ব্যানার্জি স্পষ্ট নিদান দিয়েছিলে ‘কেষ্টর মেয়ের খোঁজ খবর রাখার’। কিন্তু শুক্রবার রাতে সেই সুকন্যা ‘বায়াস্ট’ হয়ে যাওয়া ইঙ্গিত করেছে ভীন্ন পরিস্থিতিরই। তাই তো জেলা তৃণমূলের একদা কেষ্ট বিরোধী থাকা এক নেতার কটাক্ষ, ‘‘কেষ্টর কাছে সব সময় লেজ নাড়ানো নেতারাই এখন তার ধারে পাশে ভিড়তে চাইছে না। না হলে, কেষ্টদা ফোনে কথা বলার জন্য হাকুপাকু করলেও কেউ তাতে সাড়া দিতে তিহারের নিয়ম মেনে সচিত্র পরিচয় পত্র দিয়ে আবেদন টুকু করছে না’’। 

Comments :0

Login to leave a comment