Tea Bonus

শ্রমিকদের চাপে বোনাস চুক্তি ডুয়ার্সের ৭২টি বাগানে

রাজ্য জেলা

পঞ্চাশ একরের বড় আয়তনের চা বাগানগুলির শ্রমিকরা ১৩.৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চাশ একরের ছোট চা বাগানগুলির শ্রমিকরা ১২.৫০ শতাংশ হারে বোনাস পাবেন। 
ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় থাকা চা বাগানগুলির ক্ষেত্রে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।  বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিনের ম্যারাথন বৈঠকের পর শুক্রবার রাতে মালিকপক্ষ এবং বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলির মধ্যে বোনাস চুক্তি সম্পন্ন হয়।
এই চুক্তি ৭২টি চা-বাগানের চালু হবে। এর আগেই অবশ্য ক্ষুদ্র চা চাষী সমিতিভুক্ত ১৫ থেকে ২৫ একর আয়তনের চা বাগানগুলির জন্য ১২.২৫ শতাংশ এবং ১৫ একরের কম চা বাগানগুলির জন্য ৯.২৫ শতাংশ হারে বোনাস চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।  
দু’দিনের বৈঠকেই মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা এবং চা শ্রমিকদের বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 
বৃহস্পতিবার সভার শুরুতেই মালিকপক্ষ প্রতিকুল আবহাওয়া এবং রোগ - পোকার কারণে গাছে পাতা কম হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে মাত্র ৮.৩৩ শতাংশ বোনাস দিতে চাইলে সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা একযোগে তা প্রত্যাখ্যান করেন। দাবি ওঠে, গত বছরের থেকে বেশি হারে বোনাসের।  
চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের পক্ষে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক জিয়াউল আলম, চা শ্রমিকনেতা অমূল্য রায়, বাদল গুহ, শুভাশিস সরকার, জ্যোতি রঞ্জন রায় প্রমুখ।
এদিকে রাজ্য সরকার কলকাতায় শেড বাগান মালিকদের বৈঠকে ডেকে চা শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার ‘অ্যাডভাইজারি’ দেয়। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়িতে এসে বলেন, বোনাস নিয়ে কেউ যেন খেলার চেষ্টা না করেন। কিন্তু তারপরও একাধিক বাগান কর্তৃপক্ষ বোনাস নিয়ে টালবাহানা চালিয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শ্রমিকরা। 
বোনাস না দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে গরুবাথানের ফাগু চা বাগান, অন্যদিকে বাগান ছেড়ে চলে গেছেন আলিপুরদুয়ারের কোহিনুর চা বাগানের পরিচালকরা। বানারহাটের তোতাপাড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ বোনাস নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভাইজারিকেই চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে। 
এখনও বোনাস বাকি ধরণীপুর, ক্যারন, বাগ্রাকোড, কিলকট, নাগেশ্বরী, মানাবাড়ী, কুমলাই সহ বহু চা বাগানের।

Comments :0

Login to leave a comment