আরজি কর কান্ডের প্রকৃত ঘটনা কি? সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন ডাঃ অভীক দে। প্রমান লোপাটের জন্য তিনি কি করে ছিলেন এই সবই স্বীকারোক্তি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভিতে ধরা ছিল। গত ১১আগস্ট রাত ১০টা থেকে ১২ আগস্ট পরের দিন দুপুর পর্যন্ত সিসি টিভির ফুটেজ মুছে দেওয়া হয়েছে। এদিনই মধ্য রাতে সিন্ডিকেটের মূল মাথা ডাঃ অভীক দে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আর জি কর ঘটনা নিয়ে ভুল বোঝানো, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে লঘু করে দেখানো ও এই ঘটনা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তার’রা যাতে কোন আন্দোলনে না যায় সে বিষয়ে ভয় দেখানো হয়। তিনি নাকি নিজে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন নির্যাতিতার মৃতদেহ দেখেছেন। অথচ তার দেখার কোনভাবেই কথা নয়। এই সব ঘটনা ফুটেজ আকারে সিসি টিভিতে ধরা ছিল কিন্তু সেই ফুটেজ কে বা কারা মুছে দেয়।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের ঘর থেকে সিসিটিভির ফুটেজ কিভাবে মুছে দেওয়া হলো সে বিষয়ে তদন্তের জন্য বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করার দাবী জানাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তার’রা। সূত্রের খবর অভীক দে ও তার সিন্ডিকেটের বীরুপাক্ষ বিশ্বাস স্বাশ্বত সরকারদের মদত দিতো অধ্যক্ষ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডাঃ তাপস ঘোষ এমনই অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদেরও। ডাঃ তাপস ঘোষ তার পদের অমর্যাদা, অপব্যবহার করেছেন এমন অভিযোগ করে ঘেরাও করেন জুনিয়ার চিকিৎসক’রা।
ডাঃ অভীক দে শাসকদলের খুবই ঘনিষ্ঠ। বর্ধমান শহরের শাসকদলের নেতাদের সাথে তাঁর ওঠাবসা ছিল এমন অভিযোগ করছেন এলাকার মানুষও। অভীক দে’কে সামনে রেখে যারা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, দুর্নীতি চালিয়ে এসেছে তারা এখনও বর্ধমান মেডিক্যালে বহাল আছেন। তাদের বহিস্কারের পথে না হাঁটার জন্য অধ্যক্ষের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্য’রা এখনও সাধারণ চিকিৎসকদের ভয় ভীতি দেখাচ্ছে।
অধ্যক্ষের কন্ট্রোলরুমে কারা ঢুকে ১১আগস্ট রাত থেকে ১২ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত সিসি টিভির ফুটেজ কিভাবে মুছে দিলো? তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে চিকিৎসক, কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে। আগের দিন পরের দিনের সিসি টিভির ফুটেজ থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের ফুটেজ কিভাবে গায়েব করা হলো? আরজি কর কান্ডের প্রমান লোপাটের মতোই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রমানও লোপাট করা হয়েছে। আর জি কর কান্ডে অভীক দে যুক্ত কিনা এই ফুটেজে প্রমান করে দিতে পারে তাই সেই প্রমান ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে এমনই অভিযোগ উঠছে। এই কাজের সাথে সিন্ডিকেট চক্র যুক্ত কিনা সে বিষয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়ে তদন্তে নামার দাবি করেছে জুনিয়র ডাক্তার’রা। পাশাপাশি সিসি টিভির হার্ডডিস্ক সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজন মনে করছেন চিকিৎসক’রা। এখানে এই অভিযোগও সামনেএসেছে ৪-৫জন ডাক্তারকে স্বাস্থ্য ভবন থেকে অন্যত্র বদলী করা হলেও তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট চালানোর জন্য অবৈধভাবে তারা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিল।
এখন প্রশ্ন উঠছে সেদিনের ফুটেজে কি এমন তথ্য ছিল যা লোপাট করতে হলো বর্ধমান মেডিক্যালের সিন্ডিকেট চক্রকে? কারা এর সাথে জড়িত অধ্যক্ষই বা এত দিন বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি কেন ? এই সব প্রশ্নের জটই খুলে যাবে সি সি টিভির ফুটেজ সামনে এলে।
Burdwan Medical College and Hospital
সিসিটিভি ফুটেজ উধাও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের
×
Comments :0