Bihar Election Commission

ভোটের দিন ঘোষণা করলেও এসআইআরে কত নাম বাদ গেলো বলতে পারছে না কমিশন

জাতীয়

বিহারে এসআইআরে কতজনের নাম বাদ গিয়েছে তার কোন নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারলো না নির্বাচন কমিশন। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের সময় সোমবার মুখ্যনির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছেন, বিহারের প্রায় ৭.৪ কোটি মানুষ এসআইআরে অংশ নিয়েছেন। 
কমিশনের যুক্তি নাম বাদ যাওয়ার তথ্য বিধানসভা ভিত্তিক নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে রয়েছে। মুখ্যনির্বাচন কমিশনারের কথায় ইআরওদের সর্বত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ভোটার তালিকায় নাম তোলার এবং নাম বাদ দেওয়ার। 
মুখ্যনির্বাচন কমিশনার যদিও জানিয়েছে খসড়া তালিকায় ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। চুড়ান্ত তালিকায় আরও ৩.৭ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে গোটা রাজ্যে। কমিশনের কথায় মৃত, অন্যত্র চলে গিয়েছে, নাম দুবার করে রয়েছে এমন লোকদের নাম বাদ গিয়েছে ভোটার তালিকা থেকে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মোট যেই নাম বাদ গিয়েছে তার মধ্যে ২২ লক্ষ মৃত, ৭ লক্ষ মানুষের একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে, ৩৬ লক্ষ মানুষ অন্যত্র চলে গিয়েছে।
গত ২৪ জুন বিহারে বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার বিশেষ সার্বিক সংশোধন বা এসআইআর এর শুরু করেছে। কমিশনের নোটিশে বলা হয়েছে ২০০৩ সালের পর থেকে ভোটার তালিকায় যাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে তাদের বাবা মায়ের জন্মশংসাপত্র পত্র একাধিক নথি জমা দিতে হবে। তার ভিত্তিতে তাদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে। বিরোধীদের দাবি কোন আলোচনা ছাড়াই নির্বাচন কমিশনে এই নির্দেশিকা জারি করেছে। তাদের দাবি ঘুর পথে এনআরসির কাজ করানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে। এই নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো।
এসআইআরের বিরোধীতায় মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এসআইআরের নথির জন্য ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অধীনে আধার সংযুক্তিকরণের কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে আধার যা এসআইআরের জন্য জমা দেওয়া হচ্ছে নথি হিসাবে তা আসল না নকল তা যাচাই করার অধিকার রয়েছে কমিশনের। 
উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকায় নাম যাচাইয়ের জন্য ১১টি নথির কথা উল্লেখ করেছিল। যার মধ্যে আধার কার্ড ছিল না, যুক্তি এই ক্ষেত্রে জাল আধার কার্ড অনেকে ব্যবহার করতে পারে।

Comments :0

Login to leave a comment