দিল্লির আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার বিল পাশ হলো লোকসভায়। বৃহস্পতিবার লোকসভায় এই ‘দিল্লি সার্ভিসেস বিল’ নিয়ে জবাবী ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধী দলগুলিকে রাজনৈতিক বিন্যাস ‘ইন্ডিয়া’ আক্রমণ করেন শাহ। সংখ্যার জোরে সরকার বিল পাশ করালেও প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা।
বিলের উদ্দেশ্য, দিল্লির রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের বদলি বা দায়িত্ব বন্টনের অধিকার রাজ্য সরকারের হাতে না রাখা। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, এই অধিকার থাকবে কেন্দ্র নিযুক্ত উপরাজ্যপালের হাতে। এই মর্মে আগেই অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্ট যদিও সরকারের হাত থেকে অধিকার কাড়ার বিপক্ষে মত দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে খারিজ করতেই জারি হয় অর্ডিন্যান্স। তাকেই এবার বিলে পরিণত করা হচ্ছে। কংগ্রেস, বামপন্থীদের সঙ্গে বিরোধী বিভিন্ন দলই বলেছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পুরোপুরি বিরোধী এই বিল।
‘ইন্ডিয়া’-তে শামিল রয়েয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও (আপ)। দিল্লিতে সরকার ‘আপ’-র। লোকসভায় শাহ বলেন, ‘‘দিল্লি নিয়ে ভাবুন, ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে নয়’’। দিল্লিতে চরম দুর্নীতি চলছে বলেও দাবি করেন শাহ। তিনি বলেন, দিল্লি সার্ভিসেস বিল এই দুর্নীতির অবসান ঘটাবে। জোট ভুলে বিরোধী দলগুলিকে দুর্নীতি শেষ করতে ‘দিল্লি সার্ভিসেস বিল’কে সমর্থন করার প্রস্তাবও দেন অমিত শাহ।
‘আপ’-কেও এদিন ‘বাংলো দুর্নীতি’ নিয়ে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় ‘দিল্লি সার্ভিসেস বিল (সংশোধনী) ২০২৩’ পেশ করার পরেই সুশীলকুমার রিঙ্কু-সহ আপ সাংসদেরা প্রতিবাদ করেন। বিলটিকে ‘গণতন্ত্রের পরিবর্তে আমলাতন্ত্রের সূচনা’ আখ্যা দেন তাঁরা।
এর আগে এই বিষয়েই অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল কেন্দ্র। তা নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এখনও বিচারাধীন। শীর্ষ আদালত এর আগের শুনানিতে জানিয়েছে, অর্ডিন্যান্সের সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে যাচাই করা হবে, এ বিষয়ে সংসদের অধিকারের সীমাও।
Comments :0