কখনও বহিরাগত বলে, কখনও ভাষা বা ধর্মের নামে মানুষকে ভাগ করা হচ্ছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে এসআইআর প্রক্রিয়াতেও এই ভাগাভাগি দেখা যাচ্ছে।
রবিবার উত্তর দমদম বিধানসভা এলাকায় মহামিছিলে অংশ নিয়ে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এদিন উত্তর দমদম বিধানসভা অঞ্চলে সিপিআই(এম)’র পাঁচটি এরিয়া কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মহামিছিল হয়েছে।
এসআইআর’র বিরোধিতার পাশাপাশি অন্যরাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করা হয়েছে। অভয়া থেকে তমন্না হত্যার বিচারের দাবি উঠেছে। রাজ্যজুড়ে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ধ্বনিত হয়েছে প্রতিবাদ।
সেই সঙ্গে উত্তর দমদমের বেহাল পৌর পরিষেবার বিরুদ্ধে ক্ষোভে সোচ্চার হয়েছে মহামিছিল।
সেলিম বলেন, সঙ্ঘ পরিবার বলছে হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি-অবাঙালি। তৃণমূল তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। নাগরিকদের ওপর অত্যাচার নেমে আসছে। এমনিতেই বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। এখন ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
সেলিম বলেন, আমরা আসামের অভিজ্ঞতা দেখেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষকে ‘ডি ভোটার’ বা সন্দেহজনক ভোটদাতা করা হয়েছিল ভোটার তালিকায়।
সেলিম বলেন, এই মমতা ব্যানার্জি বিজেপি’র সঙ্গে থেকে বাংলাদেশি ভোটার বাদ দেওয়ার জিগির তুলেছিলেন। এখন উলটো সুর করছেন। এ বছরের জানুয়ারিতে মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা বুথে বুথে গিয়ে ভুয়ো ভোটার বার করবে। বহিরাগত বলে, ভাষা বা ধর্ম দিয়ে মানুষকে ভাগ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,এদিনই কেনদ্রীয় নির্বাচন কমিশন দিল্লিতে জানিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর’র সময় জানানো হবে।
উত্তর দমদম পৌরসভার অন্তর্গত অঞ্চলের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা, রাস্তা সংস্কারের দাবি ওঠে।
অভয়া থেকে তমন্না হত্যা এবং কসবার আইন কলেজের ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদ হয় মিছিলে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদ জানানো হয় মহামিছিল। শুরু হয় যশোর রোডের বাকড়া মোড় থেকে। নিমতা গোলবাগান গিয়ে মহামিছিল শেষ হয়।
মিছিলে যোগ দেন সিপিআই(এম) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সম্পাদক পলাশ দাস, রাজ্য কমিটির সদস্য এবং মহিলা নেত্রী আত্রেয়ী গুহ সহ নেতৃবৃন্দ।
প্রায় ৭ কিলোমিটার পথ চলেছে এই মহামিছিল।
Md Salim SIR
এসআইআর’র বিরোধিতায় মহামিছিল দমদমে, ভাগাভাগির রাজনীতির প্রতিবাদ সেলিমের

×
Comments :0