Paschim Medinipur DM Office

মেদিনীপুরে জেলা শাসকের দপ্তর ঘেরাও কৃষক, খেতমজুরদের

জেলা

বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে বিশাল মিছিল কৃষক, খেতমজুরদের। ছবি ও ভিডিও: চিন্ময় কর

গরিব মানুষের একশো দিনের কাজ চালু করতে হবে রাজ্যে। শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর, গ্রামের গরিব মানুষ জেগেছেন। মানতে হবে দাবি। 
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে জেলা শাসক দপ্তর অভিযানে এমনই দাবিতে সরব হলো মিছিল। সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের ডাকে বিশাল মিছিল মেদিনীপুর শহরে জেলা শাসক দপ্তর অভিযানে যায় এদিন।
খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র সহ কৃষক, খেতমজুর নেতৃবৃন্দ মিছিলে নেতৃত্ব দেন। 
রাজ্যে একশো দিনের কাজ বন্ধ। চলছে সার ও বীজের বেলাগাম কালোবাজারি। গ্রামীণ জনতার সঙ্কট তীব্র। ন্যায্য সহায়ক মূল্যে কৃষকের থেকে আলু কিনছে না রাজ্য। 
রাজ্যের সর্বত্র, কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুররা ঘেরাও করছেন পঞ্চায়েত দপ্তর। যাচ্ছেন বিডিও দপ্তর অভিযানে। চলছে জেলা শাসকের দপ্তর অভিযানও। বিপুল সাড়া মিলছে খেটে খাওয়া জনতার। দাবি উঠেছে একশো দিনের কাজ না দিলে সমহারে ভাতা দিতে হবে কাজের জন্য আবেদন জানানো গরিব মানুষকে। 


মেদিনীপুরে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে নিরাপদ সর্দার বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ জেগেছে। পুলিশ দিয়ে আটকে রাখা যাবে না।’’ পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘খেটে খাওয়া জনতা আইন ভাঙছে না। আইন ভাঙছে দেশের সরকার। আইন ভাঙছে রাজ্যের সরকার। বহু লড়াইয়ে একশো দিনের কাজের আইন হয়েছিল। এ রাজ্যে সে আইনে কাজের প্রকল্প বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’’
সর্দার বলেন, ‘‘প্রধানরা জানেন, বিডিওরা জানেন যে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের পকেটে গরিব মানুষের হকের টাকা ঢুকেছে। তাদের কাছে জবাব নেই। তাই আমরা যখন ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছি দেখছি প্রধানরা পালাচ্ছেন, বিডিও-রা পালাচ্ছেন। কিন্তু পালিয়ে বাঁচা যাবে না। আর দেশের সরকার চোরদের শাস্তি না দিয়ে কাজ বন্ধ রেখে শাস্তি দিচ্ছে গরিব মানুষকে। এদেরও ছাড়বেন না জনতা।’’
অমিয় পাত্র বলেছেন, ‘‘আদালতের রায়ের পরও আমাদের রাজ্যে ফের একশো দিনের প্রকল্প চালু হলো না। গরিব মানুষ লড়াই করে একশো দিনের কাজের অধিকার অর্জন করেছিলেন। সংসদে বামপন্থী সাংসদদের চাপে আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য হয় তৎকালীন কেন্দ্রের সরকার। আজ তৃণমূল বলছে বিজেপি সরকার টাকা দিচ্ছে না বলে কাজ হবে না। আর কেন্দ্রের বিজেপি বলছে তৃণমূল চুরি করছে বলে কাজ হচ্ছে না। দুটোই অসত্য যুক্তি। তৃণমূল চুরি করেছে বিপুল মাত্রায় তা প্রমাণিত। কিন্তু বিজেপি তার জন্য গরিবের টাকা বন্ধ করবে অথচ তৃণমূলকে শাস্তি দেবে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment