MOHUN BAGAN ISL

যুবভারতীতে ফলাফল বদলে দেবো, হুঙ্কার হাবাসের

খেলা

ওডিশা উড়ে যাওয়ার আগে মোহনবাগানের কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাস জানিয়ে গিয়েছিলেন, হারা কোনোভাবেই চলবে না। অন্তত ম্যাচটা ড্র রাখতেই হবে। কিন্তু সেমিফাইনালের প্রথম লেগে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ওডিশার বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও জয় হাতছাড়া করেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মনবীর সিংয়ের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর, কার্লোস দেলগাদো ও রয় কৃষ্ণর গোলে জিতেছে ওডিশা। রক্ষণের ভুলেই দু’টি গোল খেয়েছে মোহনবাগান। আগামী ২৮ এপ্রিল যুবভারতীতে স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ মোহনবাগান-ওডিশার। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে, দু’গোলের ব্যবধানেই জিততে হবে মোহনবাগানকে। নব্বই মিনিট অবধি যদি ম্যাচের ফল ১-০ থাকে, তখন ম্যাচ যাবে অতিরিক্ত সময়ে। ওডিশার বাগানের রক্ষন যা ভুল করেছে, অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছে, গোল দিলেও, ওডিশার বিরুদ্ধে গোল ধরে রাখতে পারবে না সবুজ মেরুন শিবির। তবে দ্বিতীয় লেগে বাগানের বড় ভরসা সমর্থকদের গর্জন। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে, ষাট হাজার দর্শক তো মাঠে আসবেই। সমর্থকদের উদ্দেশ্য বাগান কোচ হাবাস আশ্বাস দিচ্ছেন, ভরা যুবভারতীতেই দল প্রত্যাবর্তন করবে। স্প্যানিশ কোচের হুঙ্কার, ‘কলকাতায় আমরা স্কোরলাইন বদলে দেবো।’
ওডিশার কাছে হারের জন্য ফুটলারদের ভুলকে দায়ী করছেন হাবাস। বললেন, ‘নির্দিষ্ট কোনও ফুটবলার ভুল করেনি। সবাই মিলে ভুলগুলি করেছে। এবং একের পর এক ভুল করেছে। একটা ম্যাচে এত বেশি ভুল হলে, ম্যাচ জেতা যায় না। আমার মতে আমাদের সামনে ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে। যুবভারতীতে নিজেদের একশো শতাংশ দিয়ে, ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো।’
কার্যত রক্ষণের ভুলেই হারতে হয়েছে বাগানকে। শুধু রক্ষণকেই দুষছেন না হাবাস। তাঁর সংযোজন, ‘শুধু রক্ষণই নয়, পুরো দলটাই খারাপ ফুটবল খেলেছে। ডিফেন্স, মাঝমাঠ, আক্রমনভাগ তিন বিভাগের মধ্যেই কোনও সামঞ্জস্য ছিল না, এই কারণেই হারতে হয়েছে আমাদের।’ লোবেরা জনি কাউকো ও দিমিত্রি পেত্রাটোসকে জোনাল মার্কিংয়ে আটকে দিয়ে, বাজিমাৎ করেছে। কাউকো, দিমিত্রি কেউই ওডিশার বিরুদ্ধে সেরা ছন্দে খেলতে পারেননি। 
সাহালকে ১৯ জনের স্কোয়াডে রেখেছিলেন হাবাস। কিন্তু সাহালকে পরিবর্ত হিসাবে নামাননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে সাহালকে নামালে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারতো। আসলে তাঁকে তরতাজা রাখতে চেয়েছেন দ্বিতীয় লেগের জন্য। কী কারণে সাহালকে তিনি নামাননি। ব্যাখা দিয়েছেন হাবাস। বলছেন, ‘শেষ বাঁশি বাজার আধঘন্টা আগে আমরা সাহালকে নামাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ম্যাচটা এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছিল,তাই আর ঝুঁকি নিতে চাইনি। সাহালের রিকভ্যারি ভালো হয়েছে।’ 
সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করার পর, হোটেলে ফেরার আগে স্টেডিয়ামেই হাবাসের সঙ্গে দেখা হয় রয় কৃষ্ণার। তাঁকে দেখেই হাবাস বুকে জড়িয়ে নেন। হাবাস-কৃষ্ণ’র পুর্নমিলনের একটি মুহূর্ত তৈরি হয় কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। সাংবাদিকদের সামনে কৃষ্ণার প্রশংসাও করেন তিনি। বললেন, ‘কৃষ্ণা দুর্ধর্ষ ফুটবলার। ওডিশা হয়ে ও যা করে দেখাচ্ছে, ওর প্রতি আমার সম্মান বেড়ে গিয়েছে।’
পরপর দু’টি বাগানের দুই ফুটবলার লাল কার্ড দেখেছেন। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে হামিল। ওডিশার বিরুদ্ধে সাদিকু। দ্বিতীয় লেগে সাদিকুকে পাবে না হাবাস। ফুটবলারদের উদ্দেশ্য সতর্কবার্তা দিচ্ছেন হাবাস। তাঁর কথায়, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। কারণ তরুণ ফুটবলাররা, অভিজ্ঞদের দেখেই শেখে।  
 

Comments :0

Login to leave a comment