Mamata on Bhupatinagar

মাঝরাতে গ্রামে গেলে যা হয় তাই হয়েছে, ভূপতিনগর প্রসঙ্গে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য

‘‘মাঝ রাতে অচেনা লোক দেখলে গ্রামের লোকেরা যা করে তাই করেছে।’’ ভূপতিনগরে এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে বালুরঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি আরও বলেন, ‘‘মাঝ রাতে কেন অভিযান চালাতে গেলো এনআইএ?’’ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ পুলিশকে না জিনিয়েই অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে এনআইএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা স্থানীয় থানা বিষয়টি জানায়। তারা বাহিনী দিতে দেরি করায় তারা নিজেরাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন একবারের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপর হামলা প্রসঙ্গে কোন নিন্দা জানায়নি। উল্লেখ্য দুই বছর আগে হওয়া ঘটনার তদন্ত লোকসভা ভোটের মুখের আগে নতুন করে চাগার দেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লোকসভা ভোটের প্রচারে বামপন্থী প্রার্থীরা যখন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তাদের বার্তা নিয়ে মূল্যবৃদ্ধি ইলেক্টোরাল বন্ডের মতো বিষয় নিয়ে যখন তারা সরব হচ্ছেন তখন হঠাৎ করে এনআইএ-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। তৃণমূল এবং বিজেপি যখন মানুষের থেকে দুরে চলে যাচ্ছে তখন লোকসভা ভোটের আগে ফের নিজেদের নকল যুদ্ধ মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য পুরো ঘটনা গুলোকে সামনে আনা, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা বলে অনেকে মনে করছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতি নগরে বোমা বিস্ফোরণের তদন্তে যায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দুজনের খোঁজ করছিল তদন্তকারীরা। দুজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। 
এদের খোঁজে যাওয়ার পথে একদল গাড়িতে পাথর ছোঁড়ে। এর আগে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয় ইডি।
২০২২ সালে বোমা কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। দশজনের বেশি নিহত হন। কারখানা চালানোর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ ঘিরে অভিযোগ ছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ফেটে পড়েছিলেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, এদিন সকালে ভূপতিনগরে পৌঁছালে ভূপতিনগর বাস স্ট্যান্ডের কাছে তদন্তকারী সংস্থার গাড়ি ওপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। ছোঁড়া হয় ইটপাটকেল। তাতে আহত হন এন আই এ'র দুজন আধিকারিক। 
এরপরে ওই দুই তৃণমূল নেতাকে আটক করে এলালা ছেড়ে বেরিয়ে যায় তদন্তকারী সংস্থা।

 

Comments :0

Login to leave a comment