বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ সরকারি কর্মীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। তার আগে ৯ মার্চ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্মীদের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে ‘৯ মার্চ’ কর্মীদের কর্মবিরতির তালিকা খতিয়ে দেখল অর্থ দপ্তর। দেখা গেছে ডিএ’র দাবিতে বহু আধিকারিকও অনুপস্থিত ছিল সেই দিন। সেই কারণে প্রায় ১০ জন আধিকারিককে বদলি করছে মমতা ব্যানার্জীর সরকার। নবান্ন থেকে ৬ আধিকারিককে প্রত্যন্ত এলাকায় বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়ছে আর জেলা থেকে চারজন আধিকারিককে শহরের আনা হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় এই বদলি দাবি আধিকারিকদের। যদিও নবান্ন সাফাই রুটিন বদলি।
এই ১০ আধিকারিকের বদলি-বিতর্কের মধ্যেই আবার একদিনের বেতনও কাটল সরকার। ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি, তালিকা দিয়ে একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিল নবান্ন। সরকারের এই মনোভাবের তীব্র নিন্দা করেছে কর্মীরা। তাদের দাবি এভাবে প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না সরকার। যেসকল আধিকারিকদের বদলি করা হয়েছে তারা হলেন সজল চক্রবর্তীকে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতর থেকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়ার খাতরা ব্লক অফিসে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত বরুণ মিত্রকে পুরুলিয়ার মানবাজার ২ নম্বর ব্লকে।
[ad}
অর্থ দপ্তরের হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত সরোজ দাসকেও পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লক অফিসে। সরোজ দাসেরই সহকর্মী সুনীল কুমার সিংহকে বাঘমুণ্ডি ব্লকে। স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তরের হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট কৌশিক হালদারকে পাঠান হয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের একই পদে কাজ করা অপূর্ব রায়কে বদলি করা হয়েছে বাঁকুড়ায়।
Comments :0