গত ম্যাচে বাইরের মাঠে ওডিশার কাছে হার। তারপর ঘরের মাঠে ‘সহজ’ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হেরে আরও সমস্যায় পড়ল ইস্টবেঙ্গল। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও শুরুতে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্লেইটন। মহেশ-ক্লেইটন যুগলবন্দীর ফসল এই গোল। প্রথমার্ধের শেষে খেলার ফল ছিল সেই ১-০।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে উঠতে শুরু করে জামশেদপুর। চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ এবং রক্ষণ প্রায় নিয়ম করে প্রতি ম্যাচে হতশ্রী পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছে। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। ‘ব্লকিং’ এবং ‘স্ন্যাচিং’র অভাবে অবাধে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে হানা দিতে থাকে জামশেদপুর। এদিন লাল হলুদের রক্ষণভাগে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের ম্যান মার্কিং করার ক্ষেত্রেও গাফিলতি ছিল।
সেই খামতির সুযোগ নিয়ে ৬১ মিনিটে জামশেদপুরের হয়ে সমতা ফেরান হ্যারি সয়্যার। তারপর ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালায় লাল-হলুদ। কিন্তু জামশেদপুরের মাঝমাঠ এবং রক্ষণভাগ সংঘবদ্ধ ফুটবল খেলায় আর গোল করতে পারেননি ক্লেইটনরা। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে ৮৫ মিনিটের মাথায় দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন ঋত্বিক দাস। এই ম্যাচ হেরে প্রবল চাপের মুখে ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিভেন কনস্ট্যানটাইন।
Comments :0