বনবাণী ভট্টাচার্য
না, এমনটা হবার কথা কেউ ভাবেনি— ভাবতেই পারেনি। সে তো এক শোকাহত গোধূলির কলকাতা— ছিটকে পড়ে আছে মাথার ঘিলু বৌবাজার স্ট্রিটে। কালো রাজপথ মুহূর্তে রক্তে ভেসে হয়ে উঠল টকটকে লাল। সে লাল যেন গনগনে আগুনের টুকরো। ঐ রক্ত, ঘন অন্ধকারে, যাঁরা আলো হাতে চলে মানুষকে পথ দেখান, সেই তাঁদের, মরেও যাঁরা মরেন না। ওঁরা ১৯৪৯ সালের রক্ত-পথের অমরযাত্রী। ছাত্র বিমান ব্যানার্জির তরুণ রক্তও মিশেছিল এই অমর শহীদ, মহিলা আত্মরক্ষা সামতির নেত্রী ও সংগঠক, লতিকা সেন-প্রতিভা গাঙ্গুলি-অমিয়া দত্ত এবং গীতা সরকারের রক্ত প্লাবনে। জন্ম নিল নারী শহীদ দিবস।
বিগত শতাব্দীর ২৭ এপ্রিলকে ফিরে দেখা আজ বড় প্রয়োজন। ৪২ সালে বাংলা ও ওডিশায় দুর্ভিক্ষে লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় খাদ্যাভাবে নয়, মানুষকে খাদ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নির্দয় ঔপনিবেশিক নীতিই ছিল এর কারণ। তবুও তো মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনল। খণ্ডিত ভারতে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরেই শাসন ক্ষমতায় এল জাতীয় কংগ্রেস। কিন্তু তারা শুরুতেই বুর্জোয়া জমিদারের প্রতিনিধির মতো ভূমিকা পালন করে, মানুষের দাবি দাওয়াকে অস্বীকার করতে থাকে। ফলে, দেড়শো বছর জুড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই উত্তাল তরঙ্গ শান্ত হবার আগেই ফেটে পড়তে লাগল আশাহত মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। তা শাণিত হতে থাকে বিশেষ করে কৃষকের সংগ্রাম-জমিদারের জমি সুরক্ষার বিরুদ্ধে জমিহীনের লড়াই। তেলেঙ্গানার কৃষক বিদ্রোহ-কায়ূর শহীদদের আত্মদান, পুন্নাপ্রা-ভায়ালারের মতো কিংবদন্তী স্বরূপ সংগ্রামের সাথে এই বাংলায় দেখা দেয় অবিস্মরণীয় তেভাগা আন্দোলন। চারদিকে আওয়াজ ভাগচাষির ‘দখল রেখে চাষ কর— কাস্তেতে দাও শান আর তেভাগা না মানলে— দেব না সোনার ধান’। ঐতিহাসিক এই কৃষক সংগ্রামে এক একটা গ্রাম এক একটা দুর্গ হয়ে ওঠে। পুলিশি আর বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রাণ দিয়েছে কাকদ্বীপ-ডোঙ্গাজোড়া-চন্দনপিঁড়ি সাঁকরাইল-ডুবির ভেরির অহল্যা-বাতাসী-সরোজিনী-উত্তমী-পাঁচুবালা প্রমুখ অন্তত ২৫ জন কৃষক রমণী। ৬ নভেম্বর ’৪৮ তারিখে, পুলিশের গুলিতে নিহত গর্ভবতী অহল্যা মার সন্তান জন্ম নিতে পারল না— সেই বেদনা দীর্ণ কাকদ্বীপ স্তব্ধ হয়েছিল— ‘‘সেদিন রাত্রে সারা কাকদ্বীপে হরতাল হয়েছিল- প্রজাপতি মতো আরও একদিন গুটি পোকা হয়েছিল।”
শুধু তো কৃষক আন্দোল নয়— অধিকারের সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বস্তরের বঞ্চিত মানুষের মধ্যে। গ্রাম শহরে ছড়িয়ে পড়েছে খাদ্য আন্দোলন, শিক্ষক-মধ্যবিত্ত কর্মচারীর আন্দোলন। কমিউনিস্ট পার্টি ও অন্যান্য গণসংগঠনের তুমুল লড়াই চলতে থাকে। গণআন্দোলন দমনের জন্য পুলিশের লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাসও নির্বিচারে চলতে থাকে। সরকারে বিনা বিচারে কমিউনিস্ট নেতা-কর্মী ও গণসংগঠনের নেতৃত্বকে কারারুদ্ধ করে রাখে। রাজবন্দিদের ন্যূনতম দাবি আদায়ের জন্যে চলে জেলের বাইরে ও ভিতরে আন্দোলন। সরকার ও তার পুলিশ দমদম জেলে গুলি চালিয়ে হত্যা করে কৃষক কর্মী প্রভাত কুণ্ডু এবং ছাত্র সুশীল চক্রবর্তীকে। এর প্রতিবাদে রাজবন্দিদের মা ও বোনেরা গড়ে তুলল ‘‘মায়েদের সমিতি’’ — রাজবন্দিদের মর্যাদা ও মুক্তির দাবিতে এই সমিতিও সরকারের কাছে আবেদন করেছিল।
গণআন্দোলনের এই বিপুল তরঙ্গে ঢেউ তুলে ১৯৪৩ সালে ওভারটুন হলে গড়ে ওঠে মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি। ৪৯ সালের ২৭ এপ্রিল এই আত্মরক্ষা সমিতির ডাকেই কারারুদ্ধ রাজবন্দিদের মর্যাদা ও মুক্তির দাবিতে বাংলার মহিলা সমাজ ভারতসভা হলে এক সমাবেশে উপস্থিত। সভায় অন্যান্যদের সাথে উদ্দীপনাময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আন্দোলনের নেত্রী অনিলা দেবী। মহিলারা ১৪৪ ধারা অমান্য করে সভাস্থল থেকে কলেজ স্ট্রিট-বৌবাজারের মোড়ের দিকে এগতে থাকে। হঠাৎই নিরস্ত্র ঐ মিছিলের উপর ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের পুলিশ বেপরোয়া গুলি চালাতে শুরু করে — মুহূর্তে লুটিয়ে পড়ে মিছিলের সামনে চলা নেত্রী লতিকা সেন-প্রতিভা গাঙ্গুলি-অমিয়া দত্ত-গীতা সরকার। ছাত্র বিমান ব্যানার্জিও হলো নিহত।
পথচারী, দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সাহায্যে গুলিবিদ্ধদের বাধাবিপত্তি কাটিয়ে দ্রুত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অমিয়া দত্তের মাথায় সরাসরি গুলি করায় তার মাথার ঘিলু ছিটকে পড়েছিল রাস্তায়— বাকি যাদের প্রাণটুকু তখনও ছিল, একে একে তারাও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। আহতদের চিকিৎসা হলো। সবাই সেদিন নিজের বাড়ি ফিরে গেলেও ফেরেনি ওরা, প্রতিভা-অমিয়া-গীতারা। আর ফেরেনি হাবলুর (সমর সেন) মা, লতিকা সেন। বাবা কমিউনিস্ট নেতা ডাঃ রণেন সেন আন্ডার গ্রাউন্ডে। শহীদ লতিকা সেনের সহযোদ্ধারা বুকভরা ক্রোধ ও বিষণ্ণতা নিয়ে নিস্তব্ধ কলকাতার পথ ধরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছলেন। সদ্য মাতৃহারা শিশু সমরের পাশে ছিলেন অনিলা দেবী। উপস্থিত সকলের চোখের জল বাঁধা মানেনি যখন ৮ বছরের সমর মাসি-পিসিদের খুলে রাখা চটির মধ্যে নিজের মায়ের জুতোটা খুঁজছিল। সেদিন বাতাস বইছিল মাতৃহারা শিশুদের হাহাকার নিয়ে — সেদিন নারী শহীদের রক্তে মিশেছে শোকাহত মানুষের
ব্যথার অশ্রু
কিন্তু সাথিহারা ঐ বেদনার অশ্রুকে ক্রোধে পরিণত করেই বাংলার নারী সমাজ তার সংগ্রামী ঐতিহ্যের গৌরব বজায় রেখেছে। সমস্ত আক্রমণ ও অন্যায় মোকাবিলা করে। ১৯৭৭ সালে কেন্দ্রে জনতা সরকার এবং রাজ্যে প্রথম বামফ্রন্ট, জনগণের বন্ধু সরকার গঠনের অন্যতম স্থপতি মহিলা সমাজ তার গণতন্ত্র সমানাধিকার-নারীমুক্তির পতাকা নিয়ে। আর এই সরকারের সমস্ত জনকল্যাণ কাজে মহিলারা যেমন সব্যসাচীর মতো একা হাতে সৃজনশীল, অন্যহাতে সমস্ত শত্রুর চক্রান্ত আর আক্রমণ থেকে তাকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছে অসাধারণ সাহস-দৃঢ়তা ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে ৩৪ বছর।
আজ দেশের এক ভয়ানক দুর্দিনে ২৭ এপ্রিল চেতনায় দরজায় ঘা মারছে। বিজেপি সরকারের কবলে পড়ে, বিপন্ন দেশের গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও প্রজাতন্ত্রের আদর্শ। এরা দেশের ইতিহাস বিকৃত এবং পুনর্নির্মাণ করছে— সাম্প্রদায়িক বিষাক্ত প্রচারে ভারতের বহুত্ববাদী ও সম্প্রীতির ঐতিহ্যে গরল ঢালছে। সরকারের বিন্দুমাত্র সমালোচনা ও বিরুদ্ধতায় কবি, সাহিত্যিক-অধ্যাপক-চিকিৎসক সমাজকর্মীদের কারারুদ্ধ করছে কণ্ঠরোধের জন্যে। অথচ ক্ষুধা, অপুষ্টি-বেকারি-লিঙ্গ বৈষম্য ও নারী লাঞ্ছনায় ক্রমশ শীর্ষে উঠছে দেশ। দক্ষিণপন্থী অর্থনীতির ধারকবাহক কর্পোরেটের দখলে দেশের জল-জমি-খনি-বন্দর-বিমানপোত থেকে রাষ্ট্রীয় শিল্প সংস্থা তুলে দিয়ে দেশকে ভিখারি করছে সরকার। নির্বাচনী বন্ড বিক্রির মতো বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছে।
তাই, এবারের এই লোকসভা নির্বাচনে সমস্ত দেশপ্রেমিক মানুষের একমাত্র নীতি ও নৈতিক কর্তব্য স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্তধর্মী-পরধর্ম বিদ্বেষী দেশের শত্রু এই মোদি সরকারকে পরাস্ত করা। একই রকমভাবে রাজ্যে মমতা সরকার এবং তার দলের মতো বিজেপি’র দোসর শক্তিকে নির্মূল করা। ভুললে চলবে না, আরএসএস’র দুর্গাই কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই, বিজেপি’র নির্বাচনী বন্ড বিক্রি রেকর্ড থাকলে মমতা সরকারের শিক্ষা ও শিক্ষক নিয়োগ থেকে সমস্ত চাকরি বিক্রির দুর্নীতির মহা রেকর্ড থাকে। দুর্নীতির শিরোমণিদের মাথায় বইতে লজ্জা হয় বাংলার মানুষের।
বাইরে যুযুধান হলেও, এই বিজেপি-টিএমসি একইরকম সাম্প্রদায়িক ও নারী স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী ও নারী বিদ্বেষী। বিজেপি প্রকাশ্যে, ওরা একটু গোপনে মনুসংহিতাকেই ওদের ‘বেদ’‘গীতা’ মনে করে। ৪০০ আসনে জয়লাভ করলেই, বিজেপি, বাবাসাহেব আম্বেদকারদের রচিত ভারতের মহান গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান সংশোধন করে কার্যত বাতিল করবে আর হাতে নেবে মনুসংহিতা, যা পৃথিবীর পশ্চাৎপদতম চিন্তার উৎস এক আকর গ্রন্থ। আর এই নতুন সংবিধান নিয়ে বিজেপি মেয়েদের চারদিকে এমন কঠিন অবরোধ তুলবে, যে পৃথিবীর বৃহত্তম ‘জেনানা বন্দিশালার’নাম হবে ‘ভারত’। এই নির্বাচনে, মহিলাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি চান নতুন করে আরো কঠোর বন্দি দশা, বোরখা-ঘোমটা-হিজাবে নিশ্ছিদ্র অবরোধবাসিনী, নাকি মাথা তুলে-মুক্ত স্বাধীন জীবন? মহিলা ভোটারদের মন জয়ের জন্যে বিজেপি-তৃণমূল কল্পতরু হয়ে উঠেছে। উজ্জ্বলা প্রকল্প-জনধন অ্যাকাউন্টের ভাঁওতাবাজি মেয়েদের অভিজ্ঞতায় আছে, বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও-এর নামে অসহ্য গার্হস্থ্য নির্যাতন ও পুড়িয়ে মারার যন্ত্রণা মেয়েরা ভুলবে না। ২৭ এপ্রিলে শহীদ স্মরণে প্রশ্ন এসেই যায়, ‘নির্ভয়া বিল’ কেন বেপাত্তা? ‘মোদী গ্যারান্টি’র মানে কি নারী ধর্ষণ-নারী নির্যাতন ও হত্যা? নারীর বিপদ সঙ্কুল জীবন ও নিরাপত্তাহীনতা এবং জাতীয় কুস্তিগির মেয়েদের যৌন হেনস্তাকারী সাংসদ ব্রিজভূষণদের নিরাপত্তা দেওয়া— বিলকিস বানোর ধর্ষকদের জেল মুক্তি আর মণিপুরের মায়েদের নগ্ন প্যারেডে নীরবতা পালন? তাই মহিলা আসন সংরক্ষণ আইনের গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেলের ললিপপ— যা দশ বছরে দেবার কথা মনে হয়নি?
না ওরা নারীকে দেবী করে পূজা করার ভড়ং করবে, কিন্তু মানুষের মর্যাদা ও অধিকার নৈব নৈব চ! ঠিক যেমন বিজেপি, তেমনিই টিএমসি, হাথরস-উন্নাও কাঠুয়া থেকে সন্দেশখালি-হাঁসখালি-কাকদ্বীপ-কামদুনী-ধূপগুড়ি-মালদায় ধর্ষিতার ছিন্ন ভিন্ন দেহ, কালচে শুকনো রক্তে ওদের কিছু এসে যায় না। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের চরম অসম্মানেও লাঞ্ছিতার পাশে কখনও দাঁড়াননি, বরং তাদের চরিত্র নিয়ে দোষারোপ করেছেন, সে হাঁসখালি বা পার্ক স্ট্রিটের সুসান সুজেটই হোক। আসলে মুখ্যমন্ত্রী কিনতে চান মহিলাদের আনুগত্য, যে আনুগত্যের ভিত্তিতে তার দল দাবি করবে— ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিচ্ছিস, তবে মিছিলে যাবি না কেন?’ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-কন্যাশ্রী-রূপশ্রী মেয়েদের শিক্ষিত-স্বনির্ভর করছে কি? তবে এত স্কুলছুট কেন? কেন এত বাল্যবিবাহ-নারী পাচার? উনি মেয়েদের ক্ষমতায়নে সত্যি বিশ্বাস করেন? তাহলে, মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে কেন টানা হবে পঞ্চায়েতের প্রশিক্ষণে? নারী বন্দনায় উচ্ছ্বসিত মোদীর বিজেপি নারীকে সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র ভাবে মাত্র। তাই মেয়েদের বিবাহপূর্ব পদবি ব্যবহারের জন্যে স্বামীর অনুমতিপত্র দাবি করছে। স্বামীর অনুমতি এবং পতি-প্রশিক্ষণের ব্যবস্থায় ওরা নারীর স্বাতন্ত্র্য, তাঁদের অস্তিত্ব এবং স্বাধিকার সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে।
জয়ী হলে, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা— মর্যাদা রক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্যে বামপন্থী মহিলা প্রার্থীরা ঘোষণা করেছেন, মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি এবং মহিলা আত্মমর্যাদা কেন্দ্র গড়ে পরিচালনা করবেন সংসদ তহবিলের এক-তৃতীয়াংশ অংশ টাকায়। ২৭ এপ্রিলের শহীদের নামে সংকল্পের দিনে ভাবতে হবে — গৃহসহায়িকার রোজগার শ্রমের বিনিময়ে মর্যাদার— অনুগ্রহের নয়। ভাবতে হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ১০০০ টাকা কি নিজের বা সন্তান-সন্ততির কাজের ব্যবস্থার থেকে বেশি কল্যাণকর? তা যদি না হয়, তবে নিজের স্বাধীনতা-মর্যাদা নিরাপত্তা এবং দেশ ও দেশের উদার গণতান্ত্রিক সংবিধান রক্ষার জন্যে দেশদ্রোহী-নারীবিদ্বেষী চরম রক্ষণশীল ও দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি এবং তৃণমূলকে পরাস্ত করে বাম-কংগ্রেস ও তাদের বন্ধুদের জয়যুক্ত করতে হবে।
২৭ এপ্রিল অধিকার রক্ষার উচ্ছ্বল প্রতীক। শহীদ অমিয়া দত্ত সেদিন বলেছিলেন— “যদি মরি দুঃখ কিসের? ... এত সহজে ধনিক সমাজ ব্যবস্থা পালটাতে দেবে?” না দেবে না। তাই আজ কঠিন শপথ —ব্যবস্থা পালটাবার লক্ষ্যে এই নির্বাচনে, বুথ দখলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মহিলাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আকাশ ছোঁয়া স্পর্ধায় মেয়েরা শোধ করবে শহীদের রক্ত-ঋণ। তাই লক্ষ তারার বিনিদ্র চোখে আমরা রয়েছি জেগো জাগিয়ে রেখেছে অতন্দ্র ২৭ এপ্রিল— পোহায় রজনী, জাগিছে জননী বিপুল নীড়ে।
Post Editorial
আজও তন্দ্রাহীন, বজ্র-শপথে গড়া সাতাশে এপ্রিল
×
Comments :0