CPI(M) MARTYRS JALPAIGURI

উগ্রপন্থী কেএলও’র হাতে নিহত দুই শহীদ স্মরণে রক্তদান জলপাইগুড়িতে

জেলা

CPIM MARTYRS JALPAIGURI সোমবার রক্তদান শিবিরে রক্ত দিলেন শিক্ষক ও যুবরা।

জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে শহীদ স্মরণে রক্তদান শিবির হলো সোমবার। জলপাইগুড়ির রক্তদান শিবিরটি অনুষ্ঠিত হয় কদমতলা সত্যপ্রিয় ভবনে।

২০০০ সালে স্কুল চলাকালীন কেএলও উগ্রপন্থীদের গুলিতে ক্লাসরুমেই নিহত হয়েছিলেন কমরেড নিতাই দাস ও কমরেড সুভাষ সরকার। তারপর থেকে প্রতি বছর ৭ আগস্ট শহীদ দিবস পালন করে রক্তদান শিবির করে আসছে এবিটিএ  জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাখা। শিবিরের উদ্বোধন করেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক রামাশিস চৌধুরী। 

রক্তদান করেন শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় স্তরের নেত্রী রীতা রায় সেনগুপ্তজেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়সদর মহকুমা শাখার সম্পাদক কৌশিক গোস্বামী সহ অন্যান্যরা। 

এদিনই ডিওয়াইএফআই'র  উদ্যোগে ময়নাগুড়িতে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির দপ্তরে সংগঠিত হয় যুব আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা এবং শিক্ষক নিতাই দাস স্মরণে রক্তদান  শিবির। 

শহীদ কমরেড নিতাই দাস সিপিআই(এম) ময়নাগুড়ি জোনাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক ছিলেন। তাঁর স্কুলে ঢুকে একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল কেএলও উগ্রপন্থীরা। শহীদ স্মরণে আয়োজিত এই রক্তদান শিবিরে সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক সলিল আচার্যজেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য হরিহর রায় বসুনিয়া এবং যুব আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

২০০০ সালে ওই একই দিনে  ময়নাগুড়িতে হত্যালীলা চালিয়ে ধুপগুড়িতে পৌঁছায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কামতাপুরী লিবারেশন অর্গানাইজেশনের বা কেএলও’র অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত উগ্রপন্থী বাহিনী। স্কুলের মধেই শহীদ হন ডিওয়াইএফআই’র ধুপগুড়ির প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক এবং শিক্ষক নেতা কমরেড সুভাষ সরকার। তাঁর স্মরণে ২০০১ থেকেই ডিওয়াইএফআই এই দিনে রক্তদান শিবির করে আসছে। এখানে অন্যদের সঙ্গে ছিলেন ধুপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্যা মমতা রায়ও। 

 মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্কের, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ব্লাড ব্যাঙ্ক ইউনিটের টিম রক্ত সংগ্রহ করে। তিনটি রক্তদান শিবির মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক রক্ত দেন।

Comments :0

Login to leave a comment