Bogtui Violence

গণহত্যায় ধিক্কার জনিয়ে মিছিল বগটুইয়ে

রাজ্য

Bogtui Violence

দেশের সাম্প্রতিক নৃশংসতম হত্যালীলার সাক্ষী বগটুই গ্রাম। এই গ্রামেই এক বছর আগে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল শিশু, মহিলা সহ প্রায় ১০ জনকে। সেই হত্যাকান্ডের তদন্ত চলছে এখনও। তদন্ত করছে সিবিআই। এখনও সেই মামলার যদিও নিস্পত্তি হয়নি। কিন্তু অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিন বগটুইয় মোর থেকে মিছিল করে সিপিআই(এম)। আবহাওয়া খারাপ থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে কিছু পরে শুরু হয় এই মিছিল। মিছিলের ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, নরেন চ্যাটার্জী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও এদিনের মিছিলে পা মিলিয়েছেন বহু মানুষ। নীরব এই মিছিলে পা মেলান বগটুই সহ পাশের গ্রামের সাধারণ গ্রামবাসীরাও। হাতে প্লাকার্ড নিয়ে তারা দাবি করেন উপযুক্ত শাস্তি হোক অপরাধীদের। বগটুইয়ে স্বজনহারাদের 'শ্রদ্ধা' জানাতে গিয়ে রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার শুনলেন ‘নট আলাউড’! এদিকে এদিন বগটুইতে স্বজনহারার বাড়িতে ঢুকতে বাঁধা পেলেন তৃণমূলের বিধায়ক। আশিস ব্যানার্জি ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয় স্বজন হারা পরিবার।


এদিন মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন ‘তৃণমূল এই দিনটিতেও মঞ্চ সাজিয়ে পালন করছে দেখে মনে হচ্ছে শোক নয় আনন্দ উৎসব পালন করছে। আসলে তৃণমূল বুঝতেই পারে না কোনটা উৎসব কোনটা শোক।’ বগটুই হত্যাকান্ডের তদন্ত করছে সিআইডি ও সিবিআই। দুই তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন ‘কেন্দ্রে মোদী ও রাজ্যে মমতা ব্যানার্জী সরকার যে সমিকরণে চলে বগটুই তদন্ত নিয়েও একই টানা পোড়েন চলছে সিআইডি ও সিবিআই’র মধ্যে।’ তবে বগটুই হত্যাকাণ্ডের এক বছর হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত রাজ্য সরকার নিহতদের ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারেনি তারও নিন্দা করেছেন সেলিম।
কি হয়েছিল বগটুইয়ে?


সিবিআই’র দেওয়া চার্জশিট অনুযায়ী ২১ মার্চ ২০২২’র রাতে বগটুই গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় রুপালি বিবির বাড়ি সহ পর পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে। অগ্নিদগ্ধ মৃত্যু হয়েছিল মোট ১০ জনের। কারণ গরু, বালি, পাথররে চোরা চালানের বখরা নিয়ে গন্ডগোল বেধেছিল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠির মধ্যে। গত ২১ মার্চ সেই বখরা নিয়েই খুন হতে হয়েছিল তৃণমূলের উপ-প্রধান ভাদু শেখ। তার খুনেরই বদলা বগটুই হত্যা কান্ড। এলাকায় তৃণমূল নেতাদের ভয়ে সেদিন জীবন্ত দগ্ধ হওয়া পরিবারের লোকজনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে সাহস পাননি গ্রামবাসীরা। আগুন লাগানো হয়েছিল দেখেও চুপ ছিল তারা। নইলে একই পরিনতি হত বাকিদের। তৃণমূলের এই বদলার হত্যালীলাকে নীরবে সমর্থন করেছিল রাজ্য পুলিশও।
 

Comments :0

Login to leave a comment