শীত পড়তেই চুপি পাখিরালয়ে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়ে গেছে। তাদের আনাগোনা অব্যাহত থাকবে শীত থাকা পর্যন্ত। পর্যটকদের আগমনের উদ্দেশ্য, পরিযায়ী পাখি দেখা, অক্ষয় কুমার দত্তের পূর্বস্থলীর একটু ছোঁওয়া পাওয়া। বামফ্রন্টের আমলে পূর্বস্থলীর ছাড়ি গঙ্গায় অসংখ্য পরিযায়ী পাখি শীতের মরশুমে আসতে শুরু করে। চুপি চরকে ঘিরেই বামফ্রন্ট সরকার আশির দশকে গড়ে তোলে পাখিরালয়। পাখি দেখার জন্য গড়ে তোলা হয় ওয়াচ টাওয়ার, কটেজ, রাত্রিবাসের জন্য গেস্ট হাউস। সেই বামফ্রন্টের আমল থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। এই চুপি পাখিরালয় পরবর্তীতে আরও সংস্কার কারণে উত্তরোত্তর পর্যটক বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীবক্ষে একেবারে কাছে গিয়ে পাখি দেখার জন্য স্বল্প মূল্য নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। এই পাখি দেখাটাই সব থেকে পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ। কারণ নৌকাযোগে সবথেকে কাছে গিয়ে শীতের মরশুমে আগত দেশ, বিদেশের পাখি দেখা যায় খুব সহজেই। আর এই নৌকাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান। তাছাড়া অতি মনোরম পরিবেশে পিকনিক করার আকর্ষণ কম নয়। আছে গার্ডেন, আছে বাচ্ছাদের খেলা করার নানা উপকরণ। আছে নির্মল পরিবেশে হাওয়া বদলানোর সুযোগ। তাই চুপি পাখিরালয় দেখতে পর্যটকদের ভিড় দিনের পর দিন ক্রম বর্ধমান।
Purbasthali
শীত পড়তেই পূর্বস্থলীর পাখিরালয় পর্যটকদের সমাগম
×
Comments :0