লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে অব্যবস্থার মামলায় আয়োজক শতদ্রু দত্তের ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার বিধাননগর মহকুমা আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে।
গত শনিবার সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির সফর ঘিরে চরম অব্যবস্থা হয়। দর্শকরা চড়া দামে টিকিট কেটেও দেখতে পাননি ফুটবলের এই মহাতারকাকে। বিক্ষোভ নেমে পড়ে মাঠে। গোটা দেশ এবং বিশ্বের কাছে কলঙ্কিত হয়েছে ভারতীয় ফুটবলের মক্কা কলকাতা।
কিন্তু একা শতদ্রুর ওপরই দোষ চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে কিনা সে প্রশ্ন তুলছেন বাংলার বহু মানুষ। সোশাল মিডিয়ায় বহুল প্রচারিত বিভিন্ন ছবি সহ পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে স্টেডিয়ামে মেসিকে ঘিরে বৃত্তে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের। তাঁকে ঘিরে ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সেই সঙ্গে এই সরকার এবং তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের দেখা যায় সেলফি তুলতে।
রবিবার শতদ্রুর আইনজীবী আদালতে দর্শকদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বিশৃঙ্খলাকে মানুষের ব্যর্থতা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন যে সুরক্ষায় ব্যাঘাত ঘটে থাকলে সুরক্ষার দায়িত্বে যারা ছিল দায় তাদের।
দর্শকরা বলেছেন, টিকিটের দাম ছিল চড়া। তার ওপর কালোবাজারি হয়েছে। কিন্তু মাঠে তাঁকে ঘিরে রেখেছিল সরকার এবং ঘনিষ্ঠ অংশেরা। তার ওপর নিরাপত্তা কর্মীরা। সব মিলিয়ে গ্যালারি থেকে দেখতে পাননি দর্শকরা।
জানা গিয়েছে, মাঠের মধ্যে হুড়োহুড়ির জেরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন মেসির ম্যানেজার। তিনি মেসিকে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মেসি মাঠে আর নেই, এখবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্যালারির ক্ষোভ তীব্র হয়ে পড়ে।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, এই ঘটনায় শাস্তি হওয়া উচিত ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের। মেসিকে ঘিরে অনুষ্ঠানেও কালোবাজারি, বিশৃঙ্খলা আটকানো গেল না। তৃণমূল সরকার এবং তার ঘনিষ্ঠতা খেলার মাঠেও দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে। সব অ্যাসোসিয়েশন, ক্লাব দখল করছে। বিশৃঙ্খল, বেপরোয়া একটি বৃত্ত তৈরি হচ্ছে খেলার জগতে। আরেকদিকে দখল হচ্ছে খেলার মাঠ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কলকারখানা, কৃষির পাশাপাশি বাংলাকে বাঁচাতে বাংলার খেলাকেও বাঁচাতে হবে।
Messi Yuba Bharati
যুবভারতী বিশৃঙ্খলায় পুলিশ হেপাজত শতদ্রুর, আসল দোষী কারা, উঠছে প্রশ্ন
×
Comments :0