এগরার বোমা কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের রেশ না মিটতেই বজবজের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা। রবিবার রাতে বজবজের নন্দরামপুর দাসপাড়ায় এই বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন লাগে। পুলিশ সূত্রের খবর, রাত পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাদের মধ্যে একজন নাবালিকা। ওই বাড়িটির গৃহবধূ এবং তাঁর শিশুও মারা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৃতদের নাম পম্পা হাটি ও জয়শ্রী হাটি। পুলিশ অবশ্য বলছে, এখানে বাজি তৈরি হতো বলে তাদের কাছে কোনও খবর নেই। সম্প্রতি এগরাতে বোমা কারখানায় বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১২জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, এখানে বাজি কারখানা ছিল কিনা তা এখনও বোঝা যায়নি। তবে এখানে বাজি মজুত করা ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। চিংড়িপোতা অঞ্চলে, যেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বহু মানুষ বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ফলে এই এলাকায় বাজি তৈরি বা বাজি মজুতের ঘটনা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ।
এদিন বজবজের ঘটনাস্থলে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন কাজ করে। বাড়িটির উপরে দোতলায় কারখানার কাজ হচ্ছিল। দমকল আসার আগেই আগুন নেভানোর কাজে নামেন স্থানীয়রা। বাড়িটির সামনে সরু রাস্তা হওয়ায় দমকলের গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হয়েছে। এই এলাকায় আশেপাশে একাধিক পুকুর রয়েছে। সেখান থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন এলাকার মানুষ। বাড়িটির সিঁড়ি ও তলার ঘর একেবারে পুড়ে গিয়েছে।
বাড়িটিতে বাজি তৈরির কাজ চলত বলে স্থানীয়দের দাবি। উপরের ঘরে গুদামে বাজি রাখা হতে বলে খবর। যদিও প্রশাসনের দাবি, এটা বাজির কারখানা নয়। ডিএফও, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, টি কে দত্ত বলেন, ‘এটা আগুন। বিস্ফোরণ নয়। কোনও কারণে ঘরে আগুন লেগে যায়। ঘরের সামগ্রী দেখা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাজির কারখানা বোঝা যায়নি। কাল সকালের আগে কিছু বলা যাবে না। কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা যাবে। বিস্ফোরণের কোনও ঘটনা নেই। আগুনের কারণে টিন ভেঙে পড়ায় দু’জন আটকে পড়েছিলেন ভিতরে। একজনকে লোকজন বের করে নিয়েছিল। সম্ভবত তিনি বেঁচে নেই।'
যদিও সাধারণ বাসিন্দাদের দাবি, এই বাড়িটিতে বাজি তৈরি হতো। তুবড়ি বানানোর কাজ হতো। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বিস্ফোরণের শব্দ তাঁরা শুনতে পেয়েছেন। যদিও সেই সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও কোনও বিষয় জানায়নি পুলিশ।
Comments :0