Rape Case Chandannagar Court

ধর্ষণের মামলায় বেকসুর খালাস

জেলা

Rape Case Chandannagar Court


তারকেশ্বর থানায় ২০১০ সালের ১০ জুন অভিযোগ দায়ের করেন কৈকালার এক যুবতী। তাঁর অভিযোগ ছিল, কৈকালা রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির তৎকালীন সেক্রেটারি সৌম্য দত্ত সোসাইটিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে। চাকরিও দেননি। সৌম্য দত্তকে এই কাজে সাহায্য করেন স্বপ্না খোটে নামে একজন মহিলা। অভিযোগের পর তারকেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ড বিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে। পরে অভিযুক্তরা জামিনে ছাড়া পান। মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার পর মোট বারো জনের স্বাক্ষ গ্রহণ করা হয়। সঠিক তথ্য প্রমানের অভাবে মঙ্গলবার চন্দননগর আদালতের অ্যাডিশনাল সেশন জাজ আব্দুল হাসেম কাজি অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেন।

অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী ছিলেন প্রতিম সিংহরায়, তাকে সাহায্য করেন দেবাশীষ দে ও চিন্ময় সিংহ রায়। প্রতিম সিংহ রায় বলেন, আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। আমরা আদালতে তা প্রমান করে দিয়েছি। মক্কেলের থেকে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল তা না দেওয়ায় এই মামলা করা হয়। আদালত সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়।

সৌম্য দত্ত বলেন, ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়। সে সময় বাড়ি থেকে বের হতে পারছলাম না লজ্জায়। এক যুগ পর এই রায় মাথার উঁচু করে চলতে সাহায্য করবে।

এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত পিপি সুব্রত ভট্টাচার্য।তিনি এই মামলায় স্পেশাল পিপি হয়ে আদালতে সওয়াল করেন।সুব্রত ভট্টাচার্য্য বলেন, এটা অন্য কোনো মামলা নয়, ধর্ষণের মত গুরুতর মামলা। এই মামলায় যদি অভিযুক্ত খালাস হয়ে যায় সেটা খুবই হৃদয়বিদারক হয় অভিযোগকারিনীর কাছে। তিনি আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের কপি অন্যান্য নথি সংগ্রহ করতে বলেছি। এই রায়ে আমরা খুশি হতে পারিনি তাই এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে যাব। আগামী ষাট দিনের মধ্যে হাইকোর্টে অ্যাপিল করব।

 

Comments :0

Login to leave a comment