কৃষকদের ঋণ মকুব এবং সরকারি ফসল সংগ্রহে জোর দিয়ে ইশ্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। রবিবার ছত্তিশগড় এবং মধ্য প্রদেশে ইশ্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এদিন বলেছেন, পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও নজর দিয়েছে কংগ্রেস সরকার। পরিকাঠামোর উন্নয়নের সুবিধা পৌঁছেছে কৃষক, শ্রমিক, মহিলা, যুব সবার কাছে।
মধ্য প্রদেশে ভোপালে ইশ্তেহার প্রকাশ করেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। দু’রাজ্যেই চালে প্রতি কুইন্টাল ৩২০০ টাকা এবং গমে প্রতি কুইন্টাল ৩০০০ টাকায় সরকারি সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস।
রমেশ বলেছেন, ‘‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি ঘোষণা করাই যথেষ্ট নয়। কারণ বারবারই দেখা গিয়েছে কৃষকদের থেকে শস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ঘোষিত সহায়ক মূল্যের চেয়ে কমে। এই নিশ্চয়তা থাকা দরকার যে কৃষকের থেকে সংগ্রহ হবে সহায়ক মূল্যেই। মধ্য প্রদেশে সরকার গড়লে কংগ্রেস তা করবে।’’
দিল্লিতে বছরভর কৃষক আন্দোলনেরও অন্যতম দাবি ছিল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সংগ্রহের জন্য আইন চালু করা। নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্তু অবস্থান উঠে যাওয়ার পর আর আইন তৈরির দিকে এগচ্ছে না কেন্দ্র।
মধ্য প্রদেশে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে কংগ্রেস। রমেশ বলেছেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে ভোটে জয়ী হয়ে কমলনাথের নেতৃত্বে রাজ্যে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। তখন ঋণ মকুবের প্রক্রিয়া চালুও হয়। দল ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেয় বিজেপি।’’
সরকারি কর্মচারীদের জন্য পুরনো পেনশন প্রকল্প, যেখানে অবসরকালীন প্রাপ্যের নিশ্চয়তা রয়েছে, তাতে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। ছত্তিশগড়ে আদিবাসী এলাকায় তেন্ডু পাতা সংগ্রহে বস্তাপিছু ৬ হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাঘেল।
১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণাও করেছে কংগ্রেস। পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন নভেম্বরের বিভিন্ন দিনে। ছত্তিশগড়ে হবে দু’দফায়, ৭ ও ১৭ নভেম্বর। মধ্য প্রদেশে ভোট হবে ১৭ নভেম্বর, এক দফায়।
Comments :0