DHUSARBELA — MANISH DEB / MUKTADHARA — 23 JULY

ধূসরবেলা — এ লজ্জা তুমি রাখবে কোথায় / মনীষ দেব

সাহিত্যের পাতা

DHUSARBELA    MANISH DEB  MUKTADHARA    23 JULY

ধূসরবেলা

এ লজ্জা তুমি রাখবে কোথায় 
মনীষ দেব

এখন তোমাকে বিবস্ত্র করে — উলঙ্গ সময় চোখরাঙায় — তুমি মুক ও বধির হয়ে যাও — সময় খুব ক্রুদ্ধ হয়েছে — এ লজ্জা তুমি রাখবে কোথায়?
জন্মভূমি,
    তোমাকে লিখছি। এক কবি লিখে ছিল — 
      'সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।' 
    প্রত্যুত্তরে আরেক কবি লিখলেন— 
      'জানিনে তোর ধন-রতন, 
       আছে কিনা রানির মতন, 
       শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় 
       তোমার ছায়ায় এসে।'


কালের যাত্রায় সেই জন্মভূমি, তুমি আজ নিরাভরণ। উলঙ্গ রাজার দেশে — রাজা নিদ্রা গিয়েছেন........ সেই সুযোগে রানী তার রাজত্বকে নগ্ন করেছেন। 
বাঃ বাঃ বাঃ বাঃ না কেউ কথা বলো না, শব্দ করো না — গণতন্ত্র লুঠতে নেমেছি। 
    এই অবরুদ্ধ সময়ে যা অনিবার্য — তা অবিশ্বাস যা মৃত্যুদূতের মতো হানা দিয়েছে। জন্মভূমি তুমি — নিঃস্ব-রিক্ত-অসহায়। ক্লান্ত সময় ডানা ঝাপটায় না 
    আর শুধু আদালত চলছে — 
             আইন 
             আইন 
             আইন
শুধু আইন বলছে — তাই — রাষ্ট্র বলছে — 
এই লজ্জা, দেশের লজ্জা, রাষ্ট্র খুব রুষ্ট-ক্রুদ্ধ!
    জন্মভূমি তুমি — দেশ না রাষ্ট্রের? জন্মভূমি যদি তুমি দেশের হও তবে তুমি নিঃস্ব-রিক্ত-অসহায়। যদি তুমি রাষ্ট্রের হও তবে তুমি রক্তাক্ত 
ক্ষত-বিক্ষত-কাটাতারে মোড়া এক লাশ, যার দায় রাষ্ট্র নেবে না, কারণ সে খুব রেগে গেছে!


    হাটে হাঁড়ি ভেঙে গেছে — বিবস্ত্র নারী, শাসক বলছে — হাটের ভিড়ে খুলে গেছে শাড়ী — হাওয়ায় উড়ে গেছে — বিবস্ত্র নারীদের গণধোলাই, 
তারপর বিবস্ত্র নারীরা লকআপে — বীভৎস গণতন্ত্র। লাশ বইছে গণতন্ত্র। 
ক্ষত-বিক্ষত গণতন্ত্র। নির্লজ্জ সময়! 
     জন্মভূমি তুমি কাঁদো 
     চিৎকার করে কাঁদো
     জননী গো তুমি কাঁদো — 
     এখন নীরবতায় ঢেকে যাচ্ছে কান্না।

Comments :0

Login to leave a comment