Post Editorial

নজরে নির্বাচন কমিশন

উত্তর সম্পাদকীয়​

নীলোৎপল বসু

ভারতে গণতন্ত্রের অভিজ্ঞতা বলতে মূলত নির্বাচনী গণতন্ত্রকেই বোঝায় । এখানে 'জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা  জনগণের শাসন' নীতিটি  সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের জনগণের সমর্থন পাওয়া  দল  বা  জোটের  সরকার গঠনের মাধ্যমে রূপ পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং ঔপনিবেশিক সরকারগুলির অপসারণের  পর যে সমস্ত দেশে নির্বাচনী গণতন্ত্র বহাল হয়েছিল, তাদের অনেকের মতো ভারতেও নির্বাচনী সংখ্যাগরিষ্ঠতার নীতি নানা চাপ এমনকি বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রত্যক্ষ ফসল ভারতীয় সংবিধানের শক্তি ও দৃঢ়তা  অটুট থেকেছে।
অতএব বলাই যায় নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা এই দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার প্রধান বৈশিষ্ট্য। সংবিধান প্রণেতারা মনে করেছিলেন যে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব  এমন একটি সাংবিধানিক সংস্থার হাতে থাকা উচিত যেটি প্রতিদ্বন্দ্বী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির জন্য  সমসুযোগ  নিশ্চিত করার  মাধ্যমে কাঠামোগতভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। বিধানসভা ও সংসদীয়  নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যাস্ত  ব্যাপক ক্ষমতা একটি ক্রমপ্রসারমাণ প্রক্রিয়ার পরিণতি যা দেশের নির্বাচনী গণতন্ত্রকে উত্তরোত্তর শক্তিশালী করেছে। বিশ্বাসযোগ্যতার নিরিখে তো বটেই অন্যান্য অনেক মাপকাঠিতেও  নির্বাচন কমিশনের  সুনাম শুধু দেশের ভোটার ও বৃহত্তর সমাজের গ্রহণযোগ্যতা ও অনুমোদন অর্জনে সীমাবদ্ধ  থাকেনি, তা দেশের ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। বহু দূর দেশ থেকে  নির্বাচনী গণতন্ত্র অনুশীলনকারীরা  ভারতে নির্বাচনের পদ্ধতি এবং গতিময়তা অধ্যয়ন করতে এসেছে।  

মোদী সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন 
  
সমস্ত বিধিবদ্ধ এবং সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের স্বাধীন চরিত্রকে ধ্বংস করার মোদী সরকারের প্রবণতা থেকে নির্বাচন কমিশনও বাদ যায়নি। কমিশনের গঠন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়  যখন নির্বাচন কমিশনারদের একজন, অশোক লাভাসা, হঠাৎ পদত্যাগ করেছিলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তাঁর  মতবিরোধের মূল বিষয় ছিল নির্বাচনী বিধির বাইরে কাজ করা সত্ত্বেও মোদীর প্রতি কমিশনের অন্যায্য পক্ষপাত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে বলে  কমিশনার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের একটি প্যানেল থাকা উচিত যেটিতে  প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে  অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, যাতে এই নিয়োগে মন্ত্রিসভার কোনও বাড়তি প্রভাব না থাকে। কিন্তু সরকার যথারীতি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ওপর  প্রভাব আরও আঁটসাঁট  করে। স্থির করে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের আরেক মন্ত্রী এই বাছাই প্যানেলে থাকবেন। এই প্রেক্ষাপটে, নির্বাচনের ঘোষণার মাত্র কয়েকদিন আগে এখনকার নির্বাচন কমিশনারদের একজন পদত্যাগ করায়  এবং দু'জন নতুন কমিশনার নিযুক্ত হওয়ায়  সন্দেহের গভীরতর উপাদান মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য বিতর্কিত বিষয়গুলি আবার সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায় যা নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং নির্বাচন পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকেই  প্রতিফলিত করে।

এই নির্বাচনে আমরা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন

এবারের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের প্রেক্ষাপটে। নির্বাচনী তহবিল এবং সামগ্রিক তহবিল গঠনে ক্ষমতাসীন দলের আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনী বন্ড ছিল একটি সুস্পষ্ট হাতিয়ার। বন্ডের ক্রিয়াপ্রণালী কর্পোরেট পুঁজি এবং সরকারের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক প্রকাশ করে যার  মূল বৈশিষ্ট্যই হলো জনসাধারণের কাছে স্বচ্ছতার প্রবল অভাব।
বন্ড কারবারের নিট ফলাফল হলো শাসক দল বিজেপি ৮০০০ কোটি টাকার বেশি মজুত করে বসে আছে। এ ব্যাপারে তারা  অন্য সব রাজনৈতিক দলের চেয়ে অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে। প্রচারাভিযানে ব্যয় করা  অর্থের বিশাল বৈষম্য থেকেই খোলাখুলি বোঝা যাচ্ছে  যে এই দুর্নীতি কিভাবে রাজনৈতিক দলগুলির সমসুযোগের বিষয়টিকে  সম্পূর্ণরূপে ক্ষুণ্ণ করেছে।  চোখের সামনে এইসব দেখেশুনে এ নিয়ে বোধহয় আর কোনও প্রমাণের প্রয়োজন নেই।
এমন প্রেক্ষাপটে, বলাই বাহুল্য, সমসুযোগের ক্ষেত্র পুনরুদ্ধারে নির্বাচন কমিশনের বড় দায়িত্ব রয়েছে। উল্লেখ্য, শুধু  সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের মাধ্যমেই নয়, নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের দিন ঘোষণার সাথে সাথে আদর্শ আচরণবিধি (MCC) কার্যকর করার মধ্যে দিয়ে  বিশাল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটি নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য একটি বড় ক্ষমতায়ন।
এতদিন রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরলেও কমিশনের কর্তৃত্ব নিয়ে সাধারণত প্রশ্ন ওঠেনি। তবে এখন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার পরিবেশ স্পষ্টতই চাপের মুখে পড়েছে।
বিরোধের প্রথম ও প্রধান বিষয় হলো  বিজেপি নেতৃত্বের, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী বিধির  স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা ভাষণে নির্দিষ্ট ধর্মীয় অনুষঙ্গ ব্যবহার করা, মন্দির প্রসঙ্গ টেনে আনা, ভোটারদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক পৃথকীকরণের বার্তা দেওয়া, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্যে দিয়ে সামনে আসছে। এর সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্বাচনী লাভের জন্য সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে কার্যকর করা।
১ মার্চ ২০২৪-এ, নির্বাচনের ঠিক আগে, নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী প্রচারে  করণীয় এবং অ-করণীয় সম্পর্কে একটি সাধারণ পরামর্শ জারি করেছিল। যা সবচেয়ে দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল তা হলো প্রচারের ঠিক এই পন্থাটি  বর্জন করা।
সিপিআই(এম) সহ 'ইন্ডিয়া' প্ল্যাটফর্মের অন্তর্গত  সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি অবিলম্বে বক্তৃতা এবং ভিডিও রেকর্ডিংয়ের অংশ  উদ্ধৃত করে নির্দিষ্ট রেফারেন্স সহ এই লঙ্ঘনগুলিকে চিহ্নিত করা শুরু করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া ছিল দ্বিধাগ্রস্ত। তারা বিধিভঙ্গকারীদের বিষয়ে কোনও নোটিস জারি করেনি, শুধু বিজেপি’র সভাপতিকে জানিয়ে দায় সেরেছে। এমনকি এতটা  সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও, এই নির্লজ্জ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পাবলিক ডোমেইনে কোনও তথ্য নেই।
দ্বিতীয় উদ্বেগজনক বিষয়টি হলো প্রথম দুই ধাপের চূড়ান্ত ভোটের পরিসংখ্যান প্রকাশে কমিশনের  বিলম্ব। ভোটগ্রহণের যথাক্রমে এগারো দিন ও চার দিন পর চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়। ভোটের দিন কমিশনের  প্রকাশিত প্রাথমিক পরিসংখ্যান থেকে চূড়ান্ত  ভোটের তথ্যের পার্থক্য পাঁচ থেকে ছয় শতাংশের মধ্যে। দুর্ভাগ্যবশত এই অসঙ্গতির বিষয়েও নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যাখ্যা উপস্থিত করেনি  এবং  বিধানসভা-ভিত্তিক এবং সংসদীয় কেন্দ্র-ভিত্তিক ভোটের চূড়ান্ত  সংখ্যা প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে।
গত ১০ মে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক
যদিও এইসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি দল ইতিমধ্যে কমিশনে পৃথকভাবে চিঠি দিয়েছিল তবু ইন্ডিয়াভুক্ত দলগুলি কমিশনে একটি যৌথ প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ১০ মে বিকাল ৫টায় সেই  বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন আলোচনার বিষয়ে ভালোভাবে অবগত থাকলেও বৈঠকের আগে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। সভায় (সিপিআই(এম)’র পক্ষে আমি সহ ইন্ডিয়াভুক্ত সব সর্বভারতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আমাদের উদ্বেগগুলি পূর্ণ  কমিশনের সামনে তুলে ধরা হয়। বৈঠক চলাকালীন সময়েই  আমরা জানতে পারি  যে ইসি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের চূড়ান্ত ভোটদানের তথ্য সরবরাহে  দেরি এবং তারতম্য সংক্রান্ত বক্তব্যের একটি প্রতিক্রিয়া আপলোড করেছে। যেহেতু এই বিষয়টি আমরা বৈঠকে বসে জানতে পারি তাই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ ছিল না। যাই হোক মোদ্দা কথা হলো কমিশন এই সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলির উপরই  চাপিয়ে দিয়েছে। কমিশনের  মতে  প্রিজাইডিং অফিসার  প্রদত্ত  ফর্ম ১৭সি-র মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে বুথভিত্তিক যে চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করে একত্রিত করলেই প্রকৃত তথ্য  হাতে আসা সম্ভব। এই প্রসঙ্গে কমিশন  তার ভোটার অ্যাপের মাধ্যমে উপলব্ধ সাম্প্রতিকতম  তথ্যের কথাও  উল্লেখ করে। কিন্তু কমিশনের লিখিত প্রতিক্রিয়ার সংযোজনীটি নিজেই প্রমাণ  করে যে অতীতের নির্বাচনগুলির তুলনায় এবারে প্রকাশিত প্রাথমিক পরিসংখ্যান এবং চূড়ান্ত পরিসংখ্যানের মধ্যে দুস্তর ফারাক রয়েছে,  যা ২০১৯-র  তুলনায় অনেক বেশি। খাড়গের তোলা প্রশ্নের  লিখিত প্রতিক্রিয়াটির  শৈলী এবং স্বর বেশ  অসংযত। প্রচ্ছন্নভাবে, এটা রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনের সময় এসব প্রশ্ন তোলার অধিকারকে কার্যত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তবুও যেটুকু ঘটেছে তা হলো বিষয়বস্তুর গুরুতর প্রভাব থাকা  সত্ত্বেও বিধিলঙ্ঘনকারী বক্তৃতার জন্য নরেন্দ্র মোদীর উপর নোটিস প্রদানে তাদের ব্যর্থতা স্বীকার করতে কমিশন বাধ্য হয়েছে। অবশ্য এ বিষয়ে বিজেপি সভাপতির প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রতিনিধিদলের কাছে কমিশনের বলার মতো কিছু ছিল না; সুতরাং কমিশন বিধিভঙ্গকারীদের  বিরুদ্ধে কী  ফলপ্রসূ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিকে হতাশাব্যঞ্জক বললে খুবই কম বলা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে ‘কমিশনের  ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা’ নষ্ট করার অভিযোগ আনার মধ্যে দিয়ে কমিশন স্বীকার করতে ব্যর্থ হয়েছে যে তারা  নিজেরাই যেহেতু সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ এবং আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির ক্ষমতাপ্রাপ্ত, তাই তারাই  এই বিশ্বাসযোগ্যতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রক্ষক।
অবশেষে এই বৈঠকে উঠে আসে  উত্তর প্রদেশের স্থানীয় পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সমাজবাদী পার্টির একজন প্রতিনিধি প্রমাণ জমা দিয়েছেন যে কীভাবে ইউপিতে স্থানীয় পুলিশ কর্তারা অগণিত ভোটারের ওপর একটি তথাকথিত 'লাল কার্ড' জারি করে তাদের কঠোর শাস্তির হুমকি দিয়েছে কারণ পুলিশের নাকি বিশ্বাস  যে তারা শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ ব্যাহত করতে পারে। কমিশনের অজান্তেই বা অনুমোদন ছাড়াই এসব নোটিস দেওয়া হচ্ছে। এসব সতর্কবার্তার ভাষা থেকে স্পষ্ট যে এগুলো কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে না। বরং এগুলি পূর্বপরিকল্পিত এবং সাম্প্রদায়িকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট কারণ এই ধরনের নির্লজ্জ হুমকির প্রাপক মূলত মুসলমানরা ।
এ ধরনের অকাট্য  প্রমাণের মুখোমুখি হয়ে কমিশন  স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে এগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অবিলম্বে বন্ধ করা হবে।


অগ্নিপরীক্ষা

বিজেপি যেভাবে দেশে ধর্মীয় মেরুকরণে বদ্ধপরিকর সেই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা  কার্যত একটি অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি। কমিশনের কার্যকারিতা নির্ভর করছে সংস্থাটি   বিজেপি’র  এ ধরনের স্পষ্ট বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে কিনা। সর্বোচ্চ ক্ষমতায়ন সত্ত্বেও সমসুযোগ  নিশ্চিত করার কাজ করতে ব্যর্থ  হলে, এটি এমন একটি সংস্থা হিসাবে ইতিহাসে পরিচিত হবে যেটি সুযোগ বা অধিকার থাকা সত্ত্বেও  নিজস্ব নির্দেশ প্রয়োগের সপক্ষে  দাঁড়াতে পারেনি, আইন লঙ্ঘনের কথা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি। সেই দুর্নাম থেকে রক্ষা পেতে নির্বাচন কমিশনকে বাস্তবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং দেশের বৃহত্তম নির্বাচনী গণতন্ত্রের সুনামের রক্ষক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবেই ।
বিজেপি যেভাবে দেশে ধর্মীয় মেরুকরণে বদ্ধপরিকর সেই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা  কার্যত একটি অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি। কমিশনের কার্যকারিতা নির্ভর করছে সংস্থাটি  বিজেপি’র  এ ধরনের স্পষ্ট বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে কি না। সর্বোচ্চ ক্ষমতায়ন সত্ত্বেও সমসুযোগ নিশ্চিত করার কাজ করতে ব্যর্থ হলে, এটি এমন একটি সংস্থা হিসাবে ইতিহাসে পরিচিত হবে যেটি সুযোগ বা অধিকার থাকা সত্ত্বেও নিজস্ব নির্দেশ  প্রয়োগের সপক্ষে  দাঁড়াতে পারেনি, আইন লঙ্ঘনের কথা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি। সেই দুর্নাম থেকে রক্ষা পেতে নির্বাচন কমিশনকে  বাস্তবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং দেশের বৃহত্তম নির্বাচনী গণতন্ত্রের সুনামের রক্ষক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবেই ।

highlights
১) ভোটের দিন কমিশনের  প্রকাশিত প্রাথমিক পরিসংখ্যান থেকে চূড়ান্ত  ভোটের তথ্যের পার্থক্য পাঁচ থেকে ছয় শতাংশের মধ্যে। দুর্ভাগ্যবশত এই অসঙ্গতির বিষয়েও নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যাখ্যা উপস্থিত করেনি এবং  বিধানসভা-ভিত্তিক এবং সংসদীয় কেন্দ্র-ভিত্তিক ভোটের চূড়ান্ত সংখ্যা প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে।

২) বিজেপি যেভাবে দেশে ধর্মীয় মেরুকরণে বদ্ধপরিকর সেই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা  কার্যত একটি অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি। কমিশনের কার্যকারিতা নির্ভর করছে সংস্থাটি বিজেপি’র এধরনের স্পষ্ট বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে কিনা।

 

Comments :0

Login to leave a comment