Brazil beat Switzerland 1-0

ব্রাজিলের ত্রাতা অভিজ্ঞ ক্যাসেমিরো

খেলা

Brazil beat Switzerland 1-0

ব্রাজিল ১ (ক্যাসেমিরো) সুইৎজারল্যান্ড— ০

একপ্রকার ঘাম দিয়েই জ্বর ছাড়ল ব্রাজিলের। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে কষ্টার্জিত জয় ব্রাজিলের। টানা দু’জয়ে শেষ ষোলো  নিশ্চিত হয়ে গেল সেলেকাওদের। নেইমার অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলের জয়ের পথ প্রশস্ত করলেন অভিজ্ঞ ক্যাসিমিরো। সময়মতো ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে। 


স্বভাবতই ব্রাজিলের প্রথম একাদশে দু’টি পরিবর্তন হয়েছে। দানিলোর পরিবর্তে এডের মিলিতাও এবং নেইমার জুনিয়রের জায়গায় ফ্রেড। ছক বদলাতে হয়েছে তিতেকে। আগের দিনের ৪-২-৩-১ পরিবর্তে ৪-৩-৩ দল নামিয়েছিলেন তিনি। ব্রাজিল ফুটবলারদের কাছে বড় পরীক্ষা ছিল নেইমারের অভাব বুঝতে না দেওয়া। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্তত প্রথমার্ধে বোঝা গেল নেইমারের থাকা আর না থাকার পার্থক্য। মাঝমাঠে সৃষ্টিশীলতার অভাব চোখে পড়ল। 

 

 

নেইমারের জায়গায় খেলা ফ্রেড সেরকম কিছু করে উঠতে পারেননি, তবে পাকুয়েতা অন্তত নিজের খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সুইৎজারল্যান্ড ফুটবলাররা যেভাবে রক্ষণ জমাট বেঁধে রেখেছিলেন। তাই, বিপক্ষের বক্সে জমি পেতে অসুবিধে হয়েছে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসনদের। তারপরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল।

 

 

 ডানদিক থেকে মাপা একটি সেন্টার রেখেছিলেন রাফিনহা। বক্সে নজরে না থাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তিনি তাড়াহুড়োয় ভুল সিদ্ধান্ত নেন, একটি নিরামিষ শটে বল হাতে তুলে দেন সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমেরের হাতে। থামিয়ে যদি বলটি মারতেন, গোল হত! রাফিনহাও একটি দূরপাল্লার শট মেরেছিলেন, সেখান থেকেও গোল আসেনি। এই জাতীয় শটে সোমেরের মতো গোলকিপার পরাস্ত করা সম্ভব নয়।

 

 

 অপরদিকে, মাঝে মাঝেই সুইৎজারল্যান্ড কাউন্টার অ্যাটাক করছিল, যদিও থিয়াগো সিলভা, মারকিউনোসদের পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেনি জাকারা। 
আশা করা গিয়েছিল, বিরতির পর ব্রাজিলের খেলায় কিছুটা বদল আসবে। সার্বিয়ার ম্যাচের মতোই সাম্বার ছন্দ দেখা যাবে। খেলায় গতি আনতে দু’টি পরিবর্তন করেন ব্রাজিলিয়ান কোচ। পাকুয়েতাকে তুলে নামান রড্রিগো, ফ্রেডের পরিবর্তে ব্রুনো গুইমারেস। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে খেলা নিয়ন্ত্রণে ছিল সুইৎজারল্যান্ডের। এর মধ্যে, ম্যাচের ৬৪ মিনিটে মাঝমাঠে বল দখলের লড়াই জিতে ক্যাসেমিরো ফরওয়ার্ড পাস বাড়ান ভিনসিয়াসের উদ্দেশ্যে। বাঁ দিক থেকে জোরে দৌড়ে বক্সে ঢুকে বল জড়িয়ে দেন ভিনি। কিন্তু গোলটি বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের জন্য। ম্যাচ যত এগিয়েছে দু’দলই গোল পাওয়ার মরিয়া হয়ে উঠে।  একাধিক পরিবর্তন করে দু’দল। অ্যান্টনি ও জেসুস নামায় খেলায় তীক্ষ্ণতা বাড়ে, শেষ অবধি গোল পায় ব্রাজিল। 

 

 

ম্যাচের ৮৩ মিনিট তখন। পরিবর্তে হিসেবে নামা রড্রিগোই ম্যাচের রঙ বদলে দিলেন। ভিনিসিয়াসের কাছ থেকে বল পেয়ে ক্যাসিমিরোকে দেন। অভিজ্ঞ ক্যাসেমিরোর শট এক সুইস ফুটবলারদের শরীরে লেগে দিক পরিবর্তন হয়ে জালে জড়িয়ে যায়। ওই গোলেই নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাজিলের জয়।  ব্যবধান বাড়তেই পারত, অতিরিক্ত সময়ে যদি না রড্রিগো ম্যাচের সহজতম সুযোগটি নষ্ট না করতেন।

Comments :0

Login to leave a comment