MD SALIM ELECTORAL BOND

সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি, বিপুল লাভ তৃণমূলেরও: বন্ড প্রসঙ্গে সেলিম

জাতীয় রাজ্য

মঙ্গলবার মালদহে সিপিআই(এম)’র ডাকে স্টেট ব্যাঙ্কের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ।

দেশের মধ্যে তো বটেই সারা দেশে বিজেপি সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দল। বিজেপি যেহেতু সরকারে, সংসদে গরিষ্ঠতা রয়েছে তারা দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিল এবং আইনসম্মত করে দিল। 
একটি সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেই সঙ্গে বলেছেন, নির্বাচনী বন্ডে বিজেপি’র পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসও ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এই প্রসঙ্গে একটি চিংড়ি রপ্তানি সংস্থার তরফে তৃণমূলকে ৪০ কোটি টাকা দেওয়ার বিষয় উল্লেখ করেন।


সেলিম বলেন, ‘‘খারাপ কাজ হলেও তাকে আইনি বলে চালায় দক্ষিণপন্থীরা। নির্বাচনী বন্ড চালু করেও রাজনৈতিক দুর্নীতিকে আইনি বৈধতা দিয়েছে বিজেপি।’’
সেলিম মনে করিয়েছেন যে ২০১৭’তে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত আইন পাশের সময় থেকে বিরোধিতা করছে সিপিআই(এম)। সিপিআই(এম) ২০১৮’র ২ ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টে যায়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মামলা দায়ের করেন। সেলিম বলেন, ‘‘একমাত্র রাজনৈতিক দল সিপিআই(এম) মামলা দায়ের করল। কেবল তা-ই নয়, সিপিআই(এম) সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোনও অনুদান নেওয়া হবে না।’’ 
সোমবারও দিল্লিতে পলিট ব্যুরো বৈঠকের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনী বন্ড চালু করেছে অথচ তার কোনও তথ্য জানাবে না। মোদী সরকার যখন থেকে সরকারে এসেছে কোনও তথ্য জানায় না। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরও নির্লজ্জের মতে স্টেট ব্যাঙ্ককে দিয়ে বলানো হয়েছে যে তথ্য এখন জানাবে না। মোদী সরকার আদালতেও সওয়াল করেছিল যে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য জানার অধিকার নেই জনগণের।’’

 
সেলিম বলেন, ‘‘স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন আধিকারিকরা বলেছেন তথ্য দেওয়া কোনও সমস্যাই নয়। কোর ব্যাঙ্কিংয়ের সবচেয়ে বড় পরিকাঠামো রয়েছে। একটা ক্লিক করলেই বের করা যায়। আসলে তথ্য না দিয়ে ভোট পার করতে চায়। মোদী সরকারের গালে এবং স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চড় মারা হয়েছে আদালতের রায়ে। এই তথ্য বেরলেই বোঝা যাবে কত টাকা কোন কোম্পানি কোন দলকে দিয়েছে।’’ 
তৃণমূল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সবচেয়ে বেশি লাভবান যেমন বিজেপি হয়েছে, গত তিন বছরে লাভবান হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এটা রাজনৈতিক তোলাবাজি। বিদেশি কোম্পানি, কর্পোরেট সেক্টর, খারাপ কাজ করে পাওয়া টাকা এভাবে রাজনৈতিক দলকে দিয়েছে। এদিকে বলা হয়েছে স্বচ্ছতা আরেকদিকে বলা হচ্ছে না কার টাকা কে পেয়েছে।’’ 
সুন্দরবনের নোনা জলের এলাকায় চিংড়ির চাষ হয়। সন্দেশখালিতে দেখা গিয়েছে জমি দখল করা হয়েছে চিংড়ির জন্য। রপ্তানি সংস্থা চিংড়ি নেয়। তার জন্য নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলকে টাকা দিতে হয়েছে। আইএফবি’র মালিক বলেছিলেন চল্লিশ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলকে দিয়েছিলেন। সরকারি খাতায় জমা দিয়েছেন। যে বছরে কোম্পানি লোকসান করছে তাকে কিন্তু তোলা দিতে হয়েছে। 
সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে সেলিমের প্রশ্ন, ‘‘এ ব্যাপারে বিজেপি কোনও কথা বলছে না কেন। ভারত সরকারই আমদানি-রপ্তানি দেখে। কেন্দ্রের সরকার কোনও কতা বলছে? বলছে না, কারণ এই তোলাবাজিতে বিজেপি’রও লাভ, তৃণমূলেরও লাভ।’’

Comments :0

Login to leave a comment