সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে গেলে কোনও সরকারি কর্মীকে শাস্তি দেওয়া যায় কি করে। জম্মু ও কাশ্মীরে এক অধ্যাপকের সাসেপনশনের ঘটনায় এই প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
জহরুর আহমদ ভাট ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে। জম্মুর স্কুল শিক্ষা ডিরেক্টরের দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত। তাঁকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন।
ঘটনায় অসন্তোষ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি তিনি বলেছেন, ‘‘সরকারের বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করার জন্য কাউকে সাসপেন্ড হতে হলে তো সমস্যার। সাসপেনশনের অন্য কারণ থাকতে পারে, তবে আবেদন জানানোর পরপরই এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শাস্তির নির্দেশ জারি হয়েছে।’’
কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে দায়ের একগুচ্ছ আবেদনের শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছে বিচারপতি এসকে কল, এস খান্না, বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্ত। সোমবার শুনানিতে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে কথা বলুন। অধ্যাপককে শাস্তি দেওয়ার অন্য কোনও কারণ আছে কিনা দেখুন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করার পরপরই কেন এই শাস্তি?’’
মঙ্গলবারও শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতে. বিচারপতিরা কেন্দ্রকে বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে কবের মধ্যে, সেই সময়সীমা ঠিক করতে হবে। এদিন কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সোয়াল করছেন। সরকারের বক্তব্য শুনে আদালতকে জানাবেন মেহতা।
আইন বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ জানাচ্ছে যে বিচারপতিরা মেহতাকে প্রশ্ন করেছেন ৩৭০ ধারায় রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সংস্থান ছিল কিনা। মেহতা বলেছেন যে সরকার বরাবরের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে রাখতে চাইছে না। আবার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে আগ্রহী।
২০১৯’র ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সংবিধানের বিশেষ দুই ধারা ৩৭০ এবং ৩৫-এ বাতিল করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। পুরোটাই হয় জম্মু ও কাশ্মীরে যখন কোনও বিধানসভা ছিল না। এখনও জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় শাসনই রয়েছে।
Comments :0