জয়ন্ত সাহা
দিল্লিতে বিজেপি আর রাজ্যের সরকারে তৃণমূল, দুই দলই বিভাজনের রাজনীতি করছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ব্যাঙ্ক, বিমা থেকে নদী-পাহাড়,খনি সব আদানি আম্বানিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।  
বৃহস্পতিবার মাথাভাঙা থানা পাড়ার মাঠে ডিওয়াইএফআই কোচবিহার জেলা ২০তম সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে একথা বলেছেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।
মীনাক্ষী বলেন, তৃণমূল সরকারও স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রেশন ব্যবস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে। চা বাগানের জমিও বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। 
এই দুই সরকারের অরাজক শাসন থেকে মুক্তি দিতে দেশে ও রাজ্যে গ্রামে আর শহরের মহল্লায় মহল্লায় ডিওয়াইএফআই লড়ছে। 
সম্মেলন উপলক্ষে মাথাভাঙা শহরের নামকরণ হয়েছে কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নগর ও নজরুল সদনের নামকরণ হয়েছে কমরেড প্রদীপ নাথ ও কমরেড মনোজ রায় মঞ্চ। 
এদিনে বিকেল ২টোয় সম্মেলন কক্ষের সামনে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা সভাপতি শম্ভু চৌধুরী। শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন নেতৃবৃন্দ। 
সমাবেশ শুরুর আগেই মাঠ ছাপিয়ে রাস্তার দখল নেয় জেলার যৌবন। মীনাক্ষী বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে,ভয় দেখিয়েও কোচবিহারে ডিওয়াইএফআই-কে দমিয়ে দেওয়া যায়নি। প্রতিদিন সংগঠন বাড়ছে। 
তিনি বলেন, সারা রাজ্যে যুবদের কাজ নেই। সরকারের কর্মসংস্থান করার কোনও উদ্যোগ নেই। ঘরে ঘরে বেকার। এর মধ্যে শিক্ষকদের চাকরি বিক্রি হয়ে গেল। যাঁরা যোগ্য ছিলেন তাঁদের চাকরিও চলে গেল। আদালত বলেছে এসএসসি’র চাকরি দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটাই দুর্নীতিতে ভরা। এর দায় মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারেন না। ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে।
মুখার্জি বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় প্রায় দেড় কোটি কৃষক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিজেপি আর তৃণমূলের সাংসদ বা বিধায়াকরা কিচ্ছু করছে না। তাঁদের দাবিতে জোরদার আন্দোলনের পথে হাঁটবে ডিওয়াইএফআই।
ধ্রুবজ্যোতি সাহা বলেন, বিভাজন করে, সন্ত্রাস করে বামপন্থীদের শেষ করতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ডিওয়াইএফআই। 
তিনি বলেন, তৃণমূলের শাসনে  উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে ডাক্তার নেই। ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। কেমোথেরাপি হয় একমাত্র মালদায়। সেখানেও লম্বা লাইন। এই বেহাল দশার দায় মুখ্যমন্ত্রী কি করে এড়াবেন? 
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক সুধাংশু প্রামাণিক ও মকসেদুল ইসলামও। সভায় সভাপতিত্ব করেন শম্ভু চৌধুরী।
                                        
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0