Rajganj Fly

মাছিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে রাজগঞ্জের, প্রশাসন নির্লিপ্ত

জেলা

ছয় ছয়টি গ্রামে উড়ছে মুসকা ডোমেস্টিকা প্রজাতির মাছি। যে কোনও সময় ছড়াতে পারে কলেরা, ডায়েরিয়া, টাইফয়েডের মতো অত্যন্ত বিপজ্জনক রোগ। 
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলে মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ ছয়টি গ্রাম। খাবার খেতে বসলে পাতে পড়ছে মাছি। গৃহস্থের উঠোন থেকে রান্নাঘর সর্বত্রই ভনভন করছে মাছির দল।
স্থানীয় বাসিন্দা অরবিন্দ সরকার বলেন, আমাদের এই গ্রামে একটি মুরগির পোল্ট্রি হয়েছে। সেই থেকেই শুরু এই মাছির উপদ্রব। শুধু আমাদের গ্রামেই নয়, আশপাশের ছয়টি গ্রাম এই মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ। বেস কয়েকবার ফার্ম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এখনো প্রায় ১৫ জন এই মাছি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যদিও পোল্ট্রি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য  মাছির উপদ্রব কমাতে চেষ্টা করা হলেও গ্রামবাসীদের থেকে সহযোগিতা মিলছে না। 
এই প্রসঙ্গে এলাকার সিপিআই(এম) নেতা অশোক রায় জানান, নির্লিপ্ত ব্লক প্রশাসন। যে কোনও সময় এই মাছি থেকে বহু মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। ইতিমধ্যে মাছিবাহিত রোগে আক্রান্ত পন্থুরি দাস জানান যে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিছানায়। 
শিখা মণ্ডল জানান, কোনও খাবার না ঢেকে রাখার উপায় নেই। এমনকি ভাত খেতে বসলেও মাছি এসে পড়ছে পাতে। 
প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট কনক কিশোর মণ্ডল বলেন, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকই পারেন এই পরিস্থিতি সামাল দিতে। এলাকার যা পরিস্থিতি যে কোনও সময় গোটা এলাকার মানুষ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এখনো রাজগঞ্জ ব্লকের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক কোনও ব্যবস্থা নেননি কেন বুঝতে পারছি না! ব্লক না পারলে জেলাকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে জেলার প্রাণীসম্পদ দপ্তরের পরিস্থিতি ও বেহাল। কর্মীর অভাবে ভুগছে অন্যান্য দপ্তরের পাশাপাশি প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরও। 

Comments :0

Login to leave a comment