অনির্বাণ দে- মুর্শিদাবাদ
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। রবিবার হরিহরপাড়ার ট্যাংরামারি হাটে জমায়েত করেছিলেন সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের কর্মীরা। সেখানে মহম্মদ সেলিম এসে পৌঁছাতেই শুরু হয় প্রচার। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ এগিয়ে এসে কথা বলেছেন মহম্মদ সেলিমের সাথে। কেউ জানিয়েছেন, পাট চাষীদের সমস্যার কথা। কেউ বলেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দুর্নীতিরাজের কথা। বলেছেন, এবার ভরসা লাল ঝান্ডায়। সংসদের অন্দরে চাই মুর্শিদাবাদের পাট চাষি, ধান চাষিদের কন্ঠস্বর। ট্যাংরামারি হাট থেকে চোঁয়া, চোঁয়া নতুনপাড়া হয়ে প্রচার শেষ হয় গজনিপুরে।
ভোট লুট ভালো নয়। জেনেছে তৃণমূলও। গ্রামের মানুষ একজোট হলে যে পরিণতি ভালো হয় না। জেনেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়। প্রতিরোধের চেহারা দেখিয়েছিলেন হরিহরপাড়ার গজনীপুরের মানুষ। লোকসভা ভোট প্রচারে ফের সেই মেজাজে বুথ রক্ষার শপথ শোনালেন গ্রামের মানুষ।
এদিনের প্রচারে পা মিলিয়েছেন এই এলাকা থেকে জয়ী কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিজয় সেখ। তরুণ এই জনপ্রতিনিধির কথায়, শুধু সিপিআই(এম) কংগ্রেস নয় তৃণমূল, বিজপিকে হারাতে গ্রামের সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসছেন এবারের ভোট।
এদিন প্রচারে ছিলেন সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা, পার্টি নেতা সচ্চিদানন্দ কান্ডারি, ইনসার আলি বিশ্বাস, আব্দুর রাজ্জাক কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেন।
চোঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েত লুট করে দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে জাহান্নারা , রফিকুল মোল্লা, মইনুল ইসলাম ফকিররা চালাচ্ছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে টানা লড়াই।
এদিন প্রচারে নেমে মইনুল ইসলাম ফকির বলেছেন, যে সাহস নিয়ে গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েতে বুথ রক্ষা করেছে। সেই সাহস বাড়ছে প্রতিদিন। বিজেপির ইশারায় কাজ করছে তৃণমূল, এটা সবাই বুঝেছে। এই বার্তা নিয়েই চলছে বাড়িবাড়ি প্রচার।
রবিবার প্রচারে শামিল হয়ে কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেন বলেছেন, “ তৃণমূল আর বিজেপিকে হারাতে গ্রামের মানুষ একজোট। এই লড়াইয়ে অধীর চৌধুরীর নির্দেশে আমরা সর্বোতভাবে সিপিআই(এম)’র পাশে আছি”।
সাংবাদিকের প্রশ্নে উত্তরে মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েই সাম্প্রদায়িক শক্তি আর দুর্নীতি বিরুদ্ধে মানুষ এককাট্টা হচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারে আসন ভিত্তিক, ব্লক ভিত্তিক বসে যৌথ কর্মীবাহিনী নামানো হচ্ছে”।
গার্ডেনরিচের বহুতল ধসে মৃত্যু নিয়ে মালা রায় বলেছেন কোন ঘটনা ঘটলে মানুষ দিন দশেকের মধ্যে ভুলে যায়। সাংবাদিকরা এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সেলিম বলেন, “ মানুষ ভোলে না, অমানুষরা ভুলে যায়। কাল আমরা নিজে ভগবানগোলায় গার্ডেনরিচের বেআইনির নির্মাণের ফলে মৃত শ্রমিকের বাড়ি আমরা গিয়েছে। ওই পরিবারকে ঘুষ দিয়ে মরদেহ বাড়ি ফেরাতে হয়েছে”।
Comments :0