মণ্ডা মিঠাই
নতুন বন্ধু
গোল্লা
উৎসব দেব
হাতেখড়ি প্রথমবার – হালকা হলুদ ফ্রেমে বাঁধানো কালো স্লেটে আমার প্রথম গোল্লা আঁকা, এ গল্প শুনেছি কিন্তু মনে নেই। আমার মনে থাকার কথাও নয়। সবাই নাকি সেদিন বলেছিল রসগোল্লাই পছন্দ ও জীবনে গোল্লাই পাবে। অথচ এখন ৯৯ জায়গায় একের পিছনে দু’টো গোল্লা পাওয়ার জন্য মায়ের কি আবদার। গোল্লার কি মহিমা, ১-এর পিছনে দু’টো গোল্লা পেলেই নাকি ল্যাপটপ, দিঘা, পুরি । আর যদি দু’টো শূন্য পাই, তাহলে সুকুমার রায়ের ছবি ও গল্পের মত হবে –
পরীক্ষায় গোল্লা পেয়ে হাবু ফেরেন বাড়ি
চক্ষু দু’টো ছানাবড়া মুখখানি হাঁড়ি
রাগে আগুন হলেন বাবা সকল কথা শুনে
আচ্ছা করে পিটিয়ে তারে দিলেন তুলো ধুনে
মারের চোটে চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করে তোলে
শুনে মায়ের বুক ফেটে যায় ‘হায় কি হল’ বলে
পিসি ভাসেন চোখের জলে কুটনো কাটা ফেলে
আহ্লাদেতে পাশের বাড়ি আটখানা হয় ছেলে।
পাশের বাড়ির ছেলেরা গোল্লা পেলে সব সময় সবার আনন্দ, কিন্তু খেলায় গোল করলে নয়। তবে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ০-এর মধ্যে ০-তে যত ধাঁধাই থাকুক আমাকে আজও ভাবায়, এক থেকে লক্ষ কোটি সংখ্যার মধ্যে ২ মানে দুই-এর যোগ ও গুণিতক –
২+২ = ৪
২x২ = ৪
উৎসব দেব,
ভট্টনগর কুলকামিনী বিদ্যামন্দির, নবম শ্রেণী / আমাদের পাঠশালা
ভট্টনগর, পশ্চিমপাড়া, লিলুয়া, হাওড়া
৯০৭৩০ ১১২১৩
Comments :0