এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিতর্কের মধ্যেই সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশ জারি করে স্পষ্ট করে জানানো হয় ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বের ভোটার, বিশেষভাবে সক্ষম, যে কোনও বয়সের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে শুনানির নোটিস নিয়ে বাড়িতে গিয়েই যাচাই করা হবে। সিইও জানান, কোনও অবস্থাতেই এই শ্রেণির ভোটারদের শুনানিতে ডাক দেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকেরা বা বিএলও’রাই ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে শুনানি পর্ব সম্পন্ন করবেন। কিন্তু কমিশনের নির্দেশিকার বাস্তবায়িত হয়নি। প্রবল শীতের মধ্যেও ভিড় লাইনে আট মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাকে ঠায়ে দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে নকশালবাড়ি বিডিও দপ্তরে। রীতিমতো হয়রানির শিকার হতে হয়েছে অন্তঃস্বত্ত্বা ওই গৃহবধূকে। বিএলও’র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নকশালবাড়ির বাসিন্দা অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূ সৃজনা রাই। মঙ্গলবার গাড়ি ভাড়া করে চার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে নকশালবাড়ি বিডিও অফিসে শুনানির জন্য এসেছিলেন। শারিরীক অসুবিধা সত্ত্বেও স্বামীকে নিয়েই এসেছিলেন সকাল ১১টায়। গৃহবধূ সৃজনা রাই’য়ের অভিযোগ সেখানে বসার কোন জায়গা নেই। অসুস্থদের জন্য কোন সুবিধা ছিল না। তাই প্রবল ঠান্ডাতেও ঠায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাঁকে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কমিশনর নির্দেশ রয়েছে অসুস্থ, অন্তঃস্বত্ত্বা, ৮৫ বছরের উর্ধে ভোটারদের জন্য বাড়িতে গিয়ে শুনানি পর্ব করা হবে। তবুও এমন কোন নোটিশ আমি পাইনি। নকশালবাড়ি বিডিও দপ্তরে শুনানির জন্য আসতে হবে এমনটা জানানো হয়েছে। তাই এসেছি। শুধু অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাই নন, বহু বৃদ্ধ মানুষকেও কনকনে ঠান্ডায় নকশালবাড়ি বিডিও অফিসের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যার ইনহেলার হাতে মাটিতে বসে রয়েছেন বৃদ্ধ সেই দৃশ্যও সামনে এসেছে।
এসআইআর শুনানি পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষের হয়রানির খবর সামনে আসছে। শুনানিতে এসে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন ভোটাররাই। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিবন্ধী মানুষ, বয়স্ক মানুষ অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাদের অযথা শুনানিতে ডেকে এনে হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁদের বহুক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হচ্ছে। বিনা কারণে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
SIR Hearing
শুনানি কেন্দ্রে হয়রানি শিকার নকশালবাড়ির অন্তঃস্বত্ত্বা
×
Comments :0