জোরালো ভূমিকম্প অনুভূত নিউ জ়িল্যান্ডে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে কম্পন অনুভূত হয়। মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে রিভারটনের ১৫৯ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এখনও পর্যন্ত এই অঞ্চলে কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। ইউএসজিএস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পে প্রাণহানি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য সবুজ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তবে হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম।
নিউজিল্যান্ডের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং সামুদ্রিক এলাকা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ অস্বাভাবিক স্রোত বিপদ ডেকে আনতে পারে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে প্রথমে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.০ বললেও পরে তা ৬.৮-এ হ্রাস করে এবং গভীরতা প্রায় ১০ কিলোমিটার বলে জানায়।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, মূল ভূখণ্ড, দ্বীপপুঞ্জ বা অঞ্চলগুলোর জন্য কোনও সুনামির সতর্কতা নেই।
সরকারি সিসমিক মনিটর জিওনেট জানিয়েছে, এদিনের ভূমিকম্প প্রায় ৫ হাজার মানুষ অনুভব করেছেন। নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে হয়েছে, ভূমিকম্পে বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি দুলতে দেখা গেছে।
শক্তিশালী এবং অস্বাভাবিক ঝুঁকির কারণে বাসিন্দাদের কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকা এড়িয়ে চলতে সতর্ক করেছে নিউজিল্যান্ডের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা। বলা হয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে তারা। সেই সঙ্গে জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ১৯৩১ সালে হকস বে অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ওই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিলেন ২৫৬ জন। সেদিনের ভূমিকম্পটি ছিল নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।গণ
Comments :0