চাকরি নিলাম তো হয়েছেই। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিবাদের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি আড়াল করতে তদন্তে ধৃত ‘কালীঘাটের কাকুর’ কন্ঠস্বর বদলানোর চেষ্টা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে গতবারও চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কমিটির মাথারাই জেলে রয়েছেন।
সোমবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘এই জন্যই গোটা রাজ্যের মানুষ ইনসাফ চাইছেন, ন্যায় চাইছেন।’’ চাকরি নিলামের তদন্তে ইড-সিবিআই’র ভূমিকাকে তামাশা বলেছেন তিনি।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক পদপ্রার্থী আন্দোলনরতদের চাকরির আশ্বাস প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন তিনি। এদিনই তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন ৫,৫৭৮ জনের নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেলিম আরও বলেন, এর আগেও ধর্নামঞ্চে গিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও দুর্নীতি হয়। যাঁরা আন্দোলন করছিলেন তাঁদের দুই-একজনকে কেনাবেচা করলেন। শিক্ষামন্ত্রী জেলে আছেনই, সেই কমিটির মাথারাও জেলে আছেন। এখন আবার একজন জেল ফেরত আসামীকে পাঠিয়েছেন ধর্নামঞ্চে।
সেলিম মনে করিয়ে দেন যে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির দপ্তরে। সেখান থেকে লাঠি মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, জেলে পাঠানো হয় তাঁদের। তিনি বলেন, ‘‘চাকরিপ্রার্থীদের মামলা করতে হয়েছে হাইকোর্টে, আদালতের আদেশ পেয়েছেন, তবে ধর্নায় বসতে পেরেছেন। তৃণমূল সরকারের সময়ে এঁদের প্রতিবাদ করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রতিবাদীদের কামড়ে দিয়েছে। এই জন্য তো গোটা রাজ্যের মানুষ ইনসাফ চাইছেন। এই জন্য গোটা রাজ্যের মানুষ চায়ছে ন্যায় বিচার।’’
সেলিম বলেন, ‘‘চাকরি নিলামে জড়িত ‘কাকু’-র কন্ঠস্বরের নমুনা যাতে নিতে না পারে তদন্তকারীরা, কেননা তাতে তাতে মমতা, তাঁর ভাইপো ফেঁসে যেতে পারেন, তার জন্য কাকুকে পিজি হাসপাতালে রেখে কন্ঠস্বর বদলানোর চেষ্টা হচ্ছে। ইডি-সিবিআই’র তামাশা চলছে। কন্ঠস্বরের নমুনা নিতে পারছে না, এটা বড় চক্র। দুর্নীতির হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে তামাশা চলছে।’’
JOB SCAM SALIM
নিয়োগ দুর্নীতি আড়াল হচ্ছে, প্রতিবাদের অধিকারও কাড়া হয়েছে: সেলিম
×
Comments :0