বুথ সাজাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।প্রার্থী হলেন অনেকেই। মনোনয়ন জমাও দিলেন। সোমবার ঘাটাল ব্লক দপ্তর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় মিছিল করলেন এক ঝাঁক তরুন পরিযায়ী তাদের বুথের প্রার্থীকে নিয়ে। মিছিলে স্লোগান তুললেন‘চোর তাড়াও গ্রাম বাঁচাও’।
এদিন প্রার্থীর সাথে বুথের একাধিক মানুষ সিপিআই(এম) কর্মী মনোনয়ন পত্র জমা দিতে মিছিলে হাটলেন। নারায়নগড়ের খুড়শী বুথে দুজন প্রার্থী। তাদের সাথে এসেছেন ১৭ জন। সবাই যুবক বয়স্ক শুধুসমীর দন্ডপাট। তিনি বলেন, ‘‘ যত বিপদ তো রাস্তা ঘাটে। গ্রামে তৃণমূলের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। আর আগের মতো নমিনেশন আর তোলাতে পারবেনা ওরা’’।
গ্রামের যুবক তাপস চক্রবর্তী বলে এক যুবক বললেন,‘‘চোরেদের কথায় আর যাবো না। ওরাই উসকে আমাদের বিপথে চালিত করিয়েছে।নোমিনেশন জমা করাটাই এখন বড় লড়াই। তারপর দেখা যাবে। গ্রামে আর উৎপাত করতে হবে না। মেয়েরাই ঝাড়ু মেরে বিস ছেড়ে দেবে ওদের’’।গ্রামের মানুষের একাটই দাবি ভোটটা শান্তিপূর্ণ হোক।
গ্রামের মানুষ কৃষেন্দু দেবের কথায়, ‘‘ ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে জয়ী হয়ে কি করলো তৃণমূল দলটা। বনসৃজনের লক্ষ লক্ষ টাকার লুঠ। তদন্তে কি রিপোর্ট গরু ছাগলে গাছ গেয়ে নিয়েছে। সত্যি ওরা গরু ছাগল। প্রাকৃতিক ভারসাম্য টাই রক্ষা পাবে না ওরা থাকলে’’। কেউ মাস্টার ডিগ্রি, কেউ বিএড, ডিএলটি। এমন যুবকরা কেউ প্রার্থী, কেউ প্রস্তাবক বা সমর্থক। প্রতিটি প্রার্থীর সাথে গ্রাম থেকে এসেছেন এমন তরতাজা যুবকরা। মহিলা প্রার্থীদের সাথে গ্রাম বুথ থেকে মহিলারা এসেছেন। সুস্মিতা মাইতি, টাকুর চক বুথ থেকে। এম এ, বিএড করে ঘরে আছেন। গৃহ শিক্ষকতা করে সংসারে সাহায্য করেন। তিনিও বলেন একটা জরালো থাক্কা এই পঞ্চায়েতে দিতে হবে। এদের তাড়াতে হবে। তিনি বলেন এস এস সি পাশ করেও চাকরি পাইনি। অথচ চোখের সামনে তার এক সহপাটী ভাইভা তে ডাক না পেয়েও চাকরি পায়। এখন তার চাকরি চলে গেছে। নারায়নগড়ে আজ মিছিল সহকারে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত জমা পর্ব শেষ হলেই প্রার্থী কে সংগে নিয়ে বুথে ফিরলেন বুথের মানুষ। জেলার ২২টি ব্লকেই নমিনেশন জমা দেওয়ার কাজ এই ভাবে চলছে বুথের একাধিক মানুষ সামিল হচ্ছেন তাদের প্রার্থীকে সংগে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বে।
Comments :0