MODI ECONOMIC POLICIY

মুখোশের আড়ালে অপরাধের বোঝাপড়া

উত্তর সম্পাদকীয়​


দীপক মিত্র

একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা, মোদী সরকারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ উদারবাদী আর্থিক নীতির পরিণতিতে দেশের শ্রমিক-কৃষক ও সাধারণ মানুষ ভয়ঙ্কর বিপদের মুখোমুখি হয়েছেন। উদার আর্থিক নীতির মূল দর্শনই হচ্ছে বেসরকারিকরণ। জাতীয় সম্পত্তি, পরিকাঠামো, প্রাকৃতিক সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর থেকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ হটিয়ে দেশ-বিদেশের বৃহৎ পুঁজি নিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দে‍শের ৯০ শতাংশ গরিব সাধারণ মানুষের সর্বনাশ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। ভারতে বিত্তবান ও বিত্তহীনদের মধ্যে ফারাক অভাবনীয়ভাবে বেড়েই চলেছে। বিগত ৯ বছরের প্রতিটি বাজেটের মধ্য দিয়ে দেশ-বিদেশের বৃহৎ পুঁজি ও কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে বিপুল পরিমাণে  আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম অগ্নিমূল্য হয়েছে, কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের দাম পাচ্ছে না, কর্মপ্রার্থী বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, দে‍‌শের সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও নবরত্ন সংস্থাগুলি কর্পোরেট সংস্থার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, শ্রমিকশ্রেণির ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরণ করতে শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে, নতুন পেনশন প্রকল্প চালু করে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের বিপদে ফেলা হয়েছে। তালিকা দীর্ঘ। এই পথেই দে‍‌শের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহৎ পুঁজি আম্বানি, আদানি প্রমুখ ধনকুবেরদের সেবা করতেই ব্যস্ত। সম্প্রতি মোদী সরকার ৫৯ পাতার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছেন। ঐ শ্বেতপত্রের মাধ্যমে মোদী সরকারের সাফল্য ও অবাস্তব-মিথ্যাচারের গল্প-কাহিনি প্রচার করা হয়েছে। বিপরীতে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করা হয়েছে। মোদীর শাসনকালে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি।

সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভারতের আর্থিক নীতি প্রসঙ্গে বিশ্লেষণমূলক এক প্রতিবেদনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ভারতের ঋণের বোঝা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় আর্থিক ক্ষেত্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভারতে বর্তমানে ঋণের পরিমাণ জিডিপি’র ৫৭.১ শতাংশ বা ১৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও ভারত সরকারকে সতর্ক করেছে। বলা হয়েছে, মূলত খাদ্যপণ্যের দাম চড়া হারে বেড়ে চলাতেই মূল্যবৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বগতি নিয়েছে। ফলে ভোগ্যপণ্যের বিক্রির হার কমছে। চাহিদা কমতে থাকায় উৎপাদন শিল্পের হার কমছে এবং আর্থিক বৃদ্ধির হারে সঙ্কোচন ঘটাচ্ছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে খাদ্যে ভরতুকি কমানো হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। দরিদ্র মানুষের জন্য তৈরি মনরেগা প্রকল্পে বরাদ্দ ছাঁটাই করা হয়েছে ২২.৫ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধি অপ্রতিহতভাবে বেড়ে চলায় ক্রেতাদের পণ্য কেনার ক্ষমতা ক্রমাগত কমছে। মোদী সরকারের সময়কালে কর্পোরেট সেবা ও তোষণ বেড়েই চলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে একদল ব্যবসায়ী ২০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে। তারা সকলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রিয়জন বলে পরিচিত। এই সময়কালে ১৫.২৩ লক্ষ কোটি ব্যাঙ্ক ঋণ মকুব করা হয়েছে। শুধুমাত্র ঋণ মকুবই নয়, দেশের সরকারি সংস্থা ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, বিদ্যুৎ, বিমানবন্দর, টেলিকম, খনি, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি দেশের স্বনির্ভর অর্থনী‍‌তির স্তম্ভগুলিকে কর্পোরেট সংস্থার হাতে জলের দরে বিক্রি করে দেওয়ার কাজ জোরকদমে চলছে। মোদী সরকার গত ৯ বছরে কর্পোরেট, একচেটিয়া ও বৃহৎ পুঁজিকে নানাবিধ কর ছাড় দিয়ে চলেছে। পাশাপাশি অপ্রত্যক্ষ কর বাড়িয়ে জনগণের ওপর আর্থিক বোঝা বাড়ানো হয়েছে। 
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায় যে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল এই পাঁচ বছরে দেশে অনাহারে থাকা গরিব মানুষের সংখ্যা ১৯ কোটি থেকে বেড়ে ৩৫ কোটিতে পৌঁছিয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের মৃত্যুর হার ৬৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে বেকারত্বে ও দারিদ্রে পিছিয়ে থাকার নিরিখে ভারত সর্বকালীন রেকর্ড করেছে। মোদী সরকারের শাসনকালে দে‍‌শের কৃষি ব্যবস্থা, কৃষি পরিকাঠামো, সেচ, বিদ্যুৎ, কৃষি বিপণন, সরকারি সংগ্রহ ইত্যাদি গভীর সঙ্কটের মুখোমুখি। গ্রামে ১০০ দিনের কাজ নেই। কৃষক পাচ্ছে না কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম। ফলে সারা দেশে গড়ে বছরে ১৩ হাজার কৃষক আত্মঘাতী হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন ৩৫ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। জমি ব্যাঙ্ক নীতির নামে ভারতের বিপুল জমি অধিগ্রহণ করার কাজ শুরু হয়েছে। ঐ জমি বৃহৎ পুঁজির মালিক ও কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। সরকারি তথ্য থেকে জানা যায় যে, দেশ-বিদেশের বৃহৎ পুঁজি ও কর্পোরেট সংস্থা দেশের ৭ লক্ষ ৩২ হাজার ২৯০ কোটি টাকা লুট করেছে। সারা দে‍‌শে কালা কৃষি আইনের মতো কালা বিদ্যুৎ আইন ও প্রিপেড স্মার্ট মিটার বসানোর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবাকে বেসরকারিকরণ করতে উদ্যোগী হয়েছে। এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সাধারণ জনগণ বিদ্যুতের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। কর্পোরেট পুঁজির মুনাফার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করতে মোদী সরকার ভারতের প্রচলিত শ্রম আইনগুলি বাতিল করে সংসদে জোরপূর্বক নতুন শ্রম আইন পাশ করিয়েছে। নতুন আইনের ফলে ভারতের বিপুল অংশের শ্রমজীবী মানুষের অর্জিত শ্রম আইনের অধিকারগুলি থাকবে না। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোটি কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি। মোদী সরকারের সময়কালে সারা দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা। অপুষ্টিতে ভুগছেন দেশের প্রায় অর্ধেক মহিলা। সম্প্রতি বিচার ব্যবস্থার নির্দেশে প্রকাশিত নির্বাচনী বন্ডের মধ্য দিয়ে দেশের ও এই রাজ্যের শাসক দলের বৃহত্তম তোলাবাজি ফাঁস হয়েছে।

রাজ্যের শাসক দলের মুখ ও মুখোশ কেন্দ্রের শাসকদের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিচ্ছে। মতাদর্শহীন একটি  দল, নাম তার তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির নীতিহীনতা-আদর্শহীনতার বহু দৃষ্টান্ত আছে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপি জোটের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানেই পেলেন মধুর সন্ধান। দ্বাদশ লোকসভা নির্বাচনে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তপন শিকদারকে এবং হাবড়া বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী বাদল ভট্টাচার্যকে সমর্থন করলেন। এই পথেই পশ্চিমবঙ্গের সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে কালিমালিপ্ত করেছেন তিনি। ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের শরিক হলেন এই রাজ্যের নেত্রী। পরবর্তী সময়ে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে তপন শিকদারকে এবং কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে সত্যব্রত মুখার্জিকে সমর্থন করলেন। তারপর কেন্দ্রে বিজেপি জোটের সরকার তৈরি হলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ঐ সরকারের রেলমন্ত্রী হলেন মমতা ব্যানার্জি। ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আরএসএস’র মুখপত্র পাঞ্চজন্য-র সম্পাদক তরুণ বিজয়ের লেখা বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। ঐ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, আরএসএস প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তারা যদি আমাকে সমর্থন করে তাহলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কমিউনিস্টদের আমি উৎখাত করেই ছাড়বো। তাঁর ঐ ভাষণ প্রসঙ্গে আরএসএস‍‌ নেতারা বলেছিলেন, ‘‘হামারা মমতাদি—সাক্ষাৎ দুর্গা’’। এই সব ঘটনা থেকে এই সত্যই সামনে এসেছে যে, সঙ্গে নেই — আবার সঙ্গে আছি। এবারের নির্বাচনের পরে বোঝা যাবে তিনি কি করবেন, তার ইঙ্গিত তিনি দিতে শুরু করেছেন। আপাতত ভোটের ময়দানে সেটিং মুখোশের পেছনে রয়েছে। বিজেপি-কে সুবিধা পাইয়ে দিতে তাঁর কোনও তুলনা নেই। 
বিজেপি সরকারের সঙ্গে তাঁর সরকারের অজস্র মিল। ১২ বছরে রাজ্য সরকার কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করেনি। কৃষকরা ফসলের লাভজনক দাম না পেয়ে অভাবী দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ১০০ দিনের কাজ নেই, বকেয়া মজুরি নেই, জব কার্ড নেই, গ্রাম সভা ডেকে হিসাব দেওয়ার বালাই নেই। আবার যোজনা প্রকল্পের বিপুল টাকা লুট করা যে হয়েছে তাও সামনে এসেছে। ঘর পায়নি গৃহহীনরা, অথচ দোতলা-তিনতলা বাড়ির মালিক তৃণমূলীদের নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পৌরসভাগুলি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। রাজ্যের অধিগৃহীত ৫৪টি বড়, মাঝারি শিল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বন্ধ দমদমের জেশপ কোম্পানি, ডানলপ, হিন্দমোটর কারখানা খোলা হবে। ঐ সমস্ত প্রতিশ্রুতি মিথ্যাচারে পরিণত হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই রাজ্যে কোনও শিল্প গড়ে ওঠেনি। এমনকি একটি আলপিনের কারখানাও হয়নি। বছরে ১ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি মিথ্যা চারে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের ফলে সিঙ্গুর এখন এ রাজ্যের শিল্পের কবরস্থান। গত আট পর্যন্ত সাত বার বিশ্ববাণিজ্য সম্মেলনের নামে দেশ-বিদেশের কর্পোরেট প্রভুদের ডেকে এনে রাজকীয় আয়োজনে কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়েছে, কিন্তু শিল্প হয়নি। রাজ্যের অসংগঠিত ক্ষেত্রের বিপুল অংশের শ্রমজীবী মানুষের ও প্রকল্পের কর্মীদের দাবিগুলি উপেক্ষিত হয়েছে। ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রচার মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৎকালীন রাজ্যের বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, যে সরকার মহার্ঘভাতা দিতে পারে না, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। সেই দিনের বিরোধী দলনেত্রী তথা আজকের মুখ্যমন্ত্রী ৩৬ শতাংশ মহার্ঘভাতা না দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছেন এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হুমকি দিচ্ছেন। একেই বলে দ্বিচারিতা। ১২ বছরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও বিধায়কদের কয়েকগুণ ভাতা বৃদ্ধি হয়ে লক্ষাধিক টাকায় দাঁড়িয়েছে। রাজ্যজুড়ে বছরভর চলছে মেলা, উৎসব, জলসা। ঐ উৎসব করতে পৌরসভার ও পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। গত ১ বছরে রাজ্য সরকার পোষিত কয়েক হাজার প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি ব্যাপক হারে গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি স্কুল ও কলেজ। শিক্ষক নিয়োগের পরিক্ষায় যোগ্যতা মানে উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীরা বছরের পর বছর রাস্তায় বসে ধরনা দিচ্ছেন। অথচ শাসক দলের নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে ফেল করা, এমনকি পরীক্ষায় না বসা কর্মীদের চাকরি দিয়েছে। মমতা ব্যানার্জির শাসনকালে রাজ্যের মহিলা সমাজ ভ‌য়ঙ্করভাবে আক্রান্ত। ধর্ষণের শিকার হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধা, অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষিতাদের খুন করা হয়েছে। ঐ আক্রমণের শিকার হয়েছেন আদিবাসী রমণীরাও। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুসারে  শুধুমাত্র এক বছরে মহিলাদের ওপর অপরাধের সংখ্যা ৩২,৫১৩। নারী ও শিশু পাচারে এই রাজ্য দেশের মধ্য প্রথম স্থানে।
মমতা ব্যানার্জির শাসনকালে রাজ্য প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে আর্থিক দুর্নীতি ও লুঠতরাজের এক ব্যাপক সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। ঐ সিন্ডিকেটের কুশীলবদের মধ্যে আছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা, নেত্রী, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, পৌরসভা, পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। দুর্নীতির পথে বিপুল অর্থ পৌঁছে গেছে নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের হাতে। এই ভয়ঙ্কর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনস্বার্থে কলকাতা হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে বহু মামলা হয়েছে। 
দুই দলই এখন নিখুঁত চিত্রনাট্য নিয়ে ভোট ময়দানে হাজির। মুখোশের আড়ালে মুখ ঢাকতে ব্যস্ত দু’তরফেই সমান। সেজন্যই সেটিং, দু’পক্ষই দু’পক্ষকে দেখছে। মুখোশের আড়ালে থাকা মুখটাকেই সামনে নিয়ে আসতে হবে এই নির্বাচনে।

Comments :0

Login to leave a comment