Sujana Chakraborty at Sodpur

মনে রাখতে হবে উদ্বাস্তু আন্দোলনের ইতিহাস: চক্রবর্তী

রাজ্য

লব মুখার্জী- সোদপুর

উদ্বাস্তু আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকার ইতিহাস সম্পর্কে আজকের প্রজন্মের সকলকে অবগত করতে হবে প্রতিটি কলোনিতে। ইউসিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সুজন চক্রবর্তী শনিবার সোদপুরে একথা বলেন। সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদের রাজ্য সাংগঠনিক সভার উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন তিনি। 
উদ্বাস্তুদের বাসস্থান হীনতার যন্ত্রণা ঘোচাতে সংগ্রামের জন্য, ১৯৫০ সালে সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ গড়ে ওঠার কথা এবং সেই সময়কাল থেকে উদ্বাস্তু আন্দোলনের সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে বামপন্থীদের লড়াই করার  ভূমিকা এবং রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার আসার পরে উদ্বাস্তু কলোনিতে নিঃশর্ত পাট্টা ও পরচা দেওয়া চালু করার কথা তুলে ধরেন  সুজন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, দেশ ভাগের জন্য দায়ী আরএসএস এখন হিন্দুত্বকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক প্রচার করছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের দেশ বিরোধী নীতি ও কাজের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ঠেকাতে উদ্বাস্তুদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। অপরদিকে রাজ্যের তৃণমূল সরকার উদ্বাস্তুদের সাথে প্রতারণা করছে।
সোদপুর হাই স্কুলে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে, সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ (ইউসিআরসি)'র রাজ্য সাংগঠনিক সভা। 
স্থান, মঞ্চ এবং কক্ষের নামকরণ করা হয়েছে , গোপাল ভট্টাচার্য নগর এবং হরিপদ দাস মঞ্চ এবং জয়ন্ত বিশ্বাস , অশোক দে , সুভাষ পাল কক্ষ। 
রেখা গোস্বামী, জীবন ভট্টাচার্য, হারাধন ব্যানার্জি, জনার্দন বিশ্বাসকে নিয়ে গঠিত সভাপতি মন্ডলী সাংগঠনিক সভা পরিচালনা করছেন। 
মূল প্রতিবেদন পেশ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মধূ দত্ত। পাট্টা ও পরচা প্রদান এবং সমস্ত কলোনির স্বীকৃতি দাবি করে তিনি বলেন, ১৮০০ উদ্বাস্তু কলোনির স্বীকৃতি বকেয়া হয়ে আছে। উদ্বাস্তুদের আর্থিক উন্নয়নের প্রয়োজনে গড়ে ওঠা রাষ্ট্রায়ত্ত  আরআইসি বন্ধ করার প্রতিবাদ করে তিনি বলেন  , সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ দাবি করছে, আরআইসি'র জমিতে ফের শিল্প গড়তে হবে। তিনি বলেন, ইউসিআরসি'র দাবি গুলি আদায় করতে ছাত্র যুব মহিলা সহ অন্যান্য অংশের মানুষের সার্বিক আন্দোলনে যোগদানের  মধ্যে দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। 
রাজ্যের ১৩ টি জেলা থেকে আসা ১৮০ জন প্রতিনিধি সাংগঠনিক সভাতে আছেন। শনিবারই প্রতিবেদনের উপর আলোচনা শুরু হয়েছে। সংগঠনের ১৩ টি জেলার সম্পাদক মন্ডলী সদস্য ও জেলার বিশেষ প্রতিনিধিরা আলোচনা করছেন।
সাংগঠনিক সভাকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির জেলা সম্পাদক ঝন্টু মজুমদার।
সংসদীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করার চক্রান্ত করতে নরেন্দ্র  মোদী সরকার কর্তৃক ১৪৩ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে এবং ৭ জানুয়ারি ডিওয়াইএফআই রাজ্য কমিটির আহ্বানে ব্রিগেড সমাবেশ  সফল করার সমর্থনে প্রস্তাব উত্থাপন করেন অর্ণব ভট্টাচার্য। শ্লোগানে সোচ্চার হয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে সমগ্র সভা। সভা চলবে রবিবার পর্যন্ত। রবিবার হবে প্রকাশ্য সমাবেশ।

Comments :0

Login to leave a comment