France vs England match

দলকে ‘ঝড়ের আগে শান্ত’ রাখছেন দেঁশ

খেলা

‘আমি ইংল্যান্ডের দুর্বলতা খুঁজে পাচ্ছি না। তবে আমরা বাড়তি চাপ না নিয়ে মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকার চেষ্টা করছি। বাড়তি চিন্তিত না হয়ে, শান্ত থেকেই শেষ চারের দরজা খুলতে চাই।’ কোয়ার্টার ফাইনালের আগের সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কোচ দিদিয়ের দেঁশ এমনটাই বলেছেন। দেঁশ পোড় খাওয়া কোচ। তাই ‘ঝড়ের আগে শান্ত’ রাখতে চাইছেন দলকে। 
চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ খেলতে নামছে ফ্রান্স। এখন অবধি বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা যেরকম ফুটবল খেলেছে, কোয়ার্টার ফাইনাল জিততে হলে ছাপিয়ে যেতে হবে নিজেদের। এককথায়, ‘দুর্ধর্ষ’ খেলতে হবে। শুধু এমবাপের উপর ভরসা করলেই হবে না, ইংল্যান্ডকে হারাতে দলগত ফুটবলে হতে পারে সাফল্যের চাবিকাঠি। কারণ দু’দলের মধ্যে পার্থক্য নেই খুব একটা। অতীতের পরিসংখ্যান বলছে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের রেকর্ড খুবই খারাপ। বিশ্বকাপে দু’বারের সাক্ষাতে দু’বারই হার। সবমিলিয়ে, ১৭ বার হার। এবার কী হবে? 
সবাই জেনে গিয়েছেন, ফ্রান্সে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো ফুটবলার একজনই আছেন। তিনি কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্ব ফুটবলে নতুন মহাতারকা। ইতিমধ্যেই কাতার বিশ্বকাপে সমস্ত প্রচারের আলো নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন। পাঁচ গোল করে। গোল্ডেন বুটের দৌড়ে তিনিই এগিয়ে। শুধু গোলই করছেন না, গোল করাচ্ছেনও। দু’টি অ্যাসিস্টও রয়েছে তাঁর নামের পাশে। ইংল্যান্ড যতই ঘুঁটি সাজাক এমবাপেকে আটকানোর জন্য, পাঁচ ডিফেন্ডার নামিয়ে দিক, কাইল ওয়াকারকে সামনে রাখুক। তবুও দেঁশ ভরসা রাখছেন এমবাপের উপর। বলছেন, ‘কিলিয়ানের দক্ষতা আছে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার, পোল্যান্ডের বিরুদ্ধেও কিন্তু সেরা ছন্দে ছিল না, তারপরও জোড়া গোল করল। কিলিয়ান ওরকমই। কাউকে বুঝতে দেবে না, ম্যাচের রং পালটে দেবে।’
দেঁশ কি তবে গতির ঝড় তুলে ইংল্যান্ডকে থামাবেন? যেহেতু তাঁর হাতে রয়েছে এমবাপে, ডেম্বেলের মতো দ্রুতগতির ফুটবলার। চার ম্যাচেই দেখা গিয়েছে ফ্রান্স উইং ধরে আক্রমণ শানায়। জোড়া ফলাকে যোগ্য সঙ্গত করেন আন্তোয়ান গ্রিজম্যান। ফ্রান্সের সাত নম্বর জার্সিধারীর হাতেই দলের চালিকাশক্তি। ফরাসি চাণক্যের কথায়, ‘গতিতে আক্রমণ করলে বিপক্ষ নিজেদের গোছানোর জন্য কম সময় পাবে। সবসময় যদিও গতিতে গোলের রাস্তা খোলে না। ইংল্যান্ড যেভাবে সেনেগালের বিরুদ্ধে গোল করেছে, চকিত প্রতিআক্রমণে। এই জায়গাতেই ইংল্যান্ড খুবই বেশ সফল। আমাদেরকেও মাঠে এটাই প্রয়োগ করতে হবে।’ 
বাইশ বিশ্বকাপে সেটপিস থেকে গোল করতে পারছে না ফ্রান্স। যা তাঁদের দুর্বলতা হিসেবেই ধরা হচ্ছে। সেটপিস থেকে গোল করতে না পারাকে নিজেদের দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন না দেশঁ। বলছেন, ‘আমাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে সেটপিসে বিপদ তৈরি করার।’ এছাড়াও ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিসের বাজে গোল হজম করাকে বিশেষজ্ঞরা ফ্রান্সের দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ২০১৮ বিশ্বকাপ ফাইনালেও নিজের ভুলে গোল খেয়েছিল। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে তাঁর উদ্দেশে এই ধরনের প্রশ্ন উড়ে এসেছিল। লরিস অকপটে বলেছেন, ‘যা জবাব দেওয়ার মাঠেই দেব।’ এর মধ্যে চুয়েমিনি ও কৌন্ডের কার্ড সমস্যা চিন্তায় রাখছে দেশঁকে। কোচ সতর্ক করে দিয়েছেন দুই ফুটবলারকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কার্ড দেখলে দল সেমিফাইনালে উঠলে খেলতে পারবেন না দু’জন। যা খবর, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেঁশ একাদশ অপরিবর্তিতই রাখবেন। দেঁশ জানেন ভালোমত, ‘ইংল্যান্ড জয়’ মানে বিশ্বকাপের জেতার ব্যাপারে তাঁরাই দাবিদার হয়ে উঠবেন।

 

Comments :0

Login to leave a comment