শিশু এবং মহিলা নির্যাতনের সাথে যুক্ত মামলা গুলোর দ্রুত নিশ্পত্তির প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ভারতমণ্ডপে জেলা আদালত গুলোর জাতীম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘একের পর এক ঘটনা যা মহিলা এবং শিশুদের সাথে ঘটে চলেছে তাতে সমাজে চিন্তার কারণ বাড়িয়েছে। ভারতে বহু কঠোর আইন রয়েছে যার সাহায্য এই সবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। এই সব ঘটনার ক্ষেত্রে যদি দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা যায় এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া যায় তবে মানুষের মনে ভরসা বাড়বে।’’
বিচার বিভাগের ওপর চাপ বাড়ালেও সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থাদের ভূমিকা নিয়ে নীরব থাকলেন মোদী।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যে সিবিআই বিষয়টির তদন্ত করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকেই তারা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সন্দীপ ঘোষকে প্রায় রোজ জেরা করে কি কি তথ্য তাদের হাতে উঠে এসেছে তা এখনও বলতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা।
উল্লেখ্য আর জি কর কাণ্ড নিয়ে পথে নেমে বিজেপি প্রতিবাদ করলেও উত্তরপ্রদেশের একাদিক ঘটনায় তারা নীরব থেকেছে। বিলকিস বানুর ধর্ষকদের জেল থেকে ছাড়ার পর মালা পড়িয়ে তাদের বরন করেছে বিজেপি।
রাজ্যে তৃণমূল এই ঘটনা নিয়ে প্রথমে নীরব থাকলেও সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত ভার যাওয়ার পর তারা রাস্তায় নেমেছে বিচারের দাবিতে। দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবিও তারা তুলেছে। কিন্তু নির্যাতীতার পরিবারের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের যেই ভূমিকার কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে কোন কথা শোনা যাচ্ছে না রাজ্যের শাসক দলের মুখে।
আইনজীবীদের মতে তদন্তকারি সংস্থা যেমন রিপোর্ট জমা করবে তার ভিত্তিতে রায় দেবে আদালত। তারা যদি চার্জশিট জমা করে দেরি করে সেই ক্ষেত্রে পিছিয়ে যায় বিচার প্রক্রিয়া। ঠিক যেমনটা হয়েছে সারদা, নারদা, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এবং রেশন দুর্নীতির ক্ষেত্রে।
দেখা গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের ব্যার্থতার জন্য জামিন পেয়েছ অনেক অভিযুক্ত।
Modi
দ্রুত বিচার শেষ করার কথা মোদীর মুখেও, নীরব তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে
×
Comments :0