DHARAVI ADANI

আদানির জন্য ধারাভি প্রকল্পে বিধি বদল ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

জাতীয়

আপত্তি জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের নগরোন্নয়ন দপ্তর। তা সত্ত্বেও শিথিল করা হয়েছে ধারাভি পুনরোন্নয়ন প্রকল্পের বিধি। এই প্রকল্পের বরাত পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। মুম্বাইয়ের আবাসন ব্যবসায়ীদের এই গোষ্ঠীর থেকে কিনতে হবে ‘হস্তান্তরযোগ্য উন্নয়ন স্বত্ত্ব’। 

আদানির লাভ আরও বাড়াতে এই ব্যবস্থা করেছে মুম্বাইয়ের বিজেপি জোট সরকার। কংগ্রেস এই অভিযোগ তুলেছে গত সপ্তাহে জারি নগরোন্নয়ন দপ্তরের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে। বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হওয়ায় শনিবার পালটা বক্তব্য প্রকাশ করেছে আদানি গোষ্ঠীর ‘ধারাভি রিডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট’। 

‘হস্তান্তরযোগ্য উন্নয়ন স্বত্ত্ব’ আবাসন ব্যবসায় চালু প্রথা। পরিবেশ বা সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের কোনও এলাকায় জমি থাকলে তার বদলে অন্যত্র হস্তান্তর করা হয় ব্যবসায়ীকে। 

কংগ্রেস বলছে, ‘‘এই পদ্ধতিতে সর্বদা সমান মাপের জমি হস্তান্তর করা হয় না। কারণ জমির দাম সর্বত্র সমান নয়। তাই ১ হাজার বর্গফুট জমির বদলে খুবই চাহিদাসম্পন্ন এলাকায় ১০০ বর্গফুট জমিও দেওয়া হতে পারে। হস্তান্তরযোগ্য স্বত্ত্ব বা ‘ট্রান্সফারেবল ডেভেলপমেন্ট রাইটস’ ব্যবস্থা এভাবেই চালু থাকে। কিন্তু আদানির ধারাভি প্রকল্প থেকে স্বত্ত্ব কিনলে খুবই লাভজনক এলাকাতেও সমান মাপের জমি মিলবে। গত সপ্তাহে নগরোন্নয়ন দপ্তরের বিধি বদলে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। 

কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘তার মানে আদানির প্রকল্প থেকে স্বত্ত্ব কিনতে হবে চড়া দামে। তারপর বিনিময়ে লোভনীয় এলাকায় জমির বড় খণ্ডে ব্যবসা করা যাবে। মুম্বাইয়ে আবাসনের দাম আরও বাড়বে। কেবল আদানিকে পাইয়ে দিতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’  

কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, ‘‘৪০ শতাংশ স্বত্ত্ব কিনতে হবে ধারাভি প্রকল্প থেকেই। আবাসন ব্যবসায়ীদের তার জন্য বাধ্য করা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।’’ 

এদিন আদানির ‘ধারাভি প্রজেক্ট’ পালটা বিবৃতিতে বলেছে, হস্তান্তরযোগ্য স্বত্ত্ব ধারাভি প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত এলাকায় ২০১৮ থেকে চালু ছিল। ২০২২ সালে তাতে কিছু বদল করা হয়। পুনরোন্নয়নের টেন্ডার ছাড়ার আগেই এই ব্যবস্থা ছিল। সংস্থার দাবি, স্বত্ত্বের ন্যূনতম ব্যবহার বরং কমানো হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়। 

২০২২’র জুনে রাজ্যে আসীন হয়েছে বিজেপি জোট সরকার। তার আগে ছিল কংগ্রেস-শিবসেনা-এনসিপি সরকার। আদানির সংস্থার বিবৃতিতে সেদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।  

Comments :0

Login to leave a comment