JAYNAGAR CM

দু-একটা ঘটনায় চেঁচামেচি, বলছেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য

জয়নগরে নাবালিকা স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পাওয়া গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত অপরাধ করার আগে এক দোকানের ভিতরে। যদিও এই ফুটেজের সত্যতা ‘গণশক্তি’ যাচাই করেনি। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে সাইকেলে করেই নিয়ে গেছে। 
৯ বছরের ছাত্রীর নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনায় জনতার ক্ষোভের মুখে পুলিশ। কারণ শুক্রবার রাতে মহিষমারি ফাঁড়িতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় পরিবারকে। জয়নগর-কুলতলি সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দা ওই পরিবারকে ঘুরতে হয় এক থানা থেকে অন্য থানায়। দেরিতে শুরু হয় তল্লাশি। তখন ক্লাস ফোরের ছাত্রীর নিথর দেহ মেলে। অভিযুক্তকে সময়মতো ধরা হলে, পুলিশ তৎপর হলে, মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যেত বলেই মত গ্রামবাসীদের।
পুলিশের অপদার্থতায় দায় তো নিলেই না। উলটে রবিবার এক অনুষ্ঠানে প্রতিবাদকেই দায়ী করার চেষ্টা চালালেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। 
এক অনুষ্ঠানে তিনি বললেন, ‘‘হাজারটা কাজের মাধ্যমে একটু ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে অযাচিতভাবে অজানা ভাবে, সেটা নিয়ে অনেক কথা বলে, কুৎসা করে। অথচ তারা জানে না আর্মির যে সম্মান, সেন্ট্রাল ফোর্সের যে সম্মান, বেঙ্গল পুলিশের, কলকাতা পুলিশের যে সম্মান তার থেকে একাংশ কম নয়। বরঞ্চ বেশি।’’
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যার পরও ক্ষোভের মুখে পড়েছে পুলিশ। প্রমাণ লোপাটে পুলিশের দায় এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে। প্রতিবাদী সব অংশ, বামপন্থীরা বারবারই বলছেন ওপরতলার চাপে পুলিশের একাংশ এমন ভূমিকা নিচ্ছে। এদিন ‘ওপরতলার’ সেই দায়ই আড়াল করার চেষ্টা চালিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  
মমতার দাবি, দু-একটা ঘটনা হয়ে গেলে বাংলায় চিৎকার চেঁচামেচি বেশি হয়।’’ তিনি আবার বলেছেন, আমি চাই কুলতলির ঘটনাটা পুলিশ পকসো কোর্টে করে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসি দেবে।
কিন্তু ছাত্রীর নিখোঁজ থাকার অভিযোগ নিতেই কেন রাজি হয়নি পুলিশ, তার ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রী দেননি। বারবার ধর্ষণের ঘটনাকে তিনিই বা কেন ‘ছোট্ট ঘটনা’ বা ‘দুর্ঘটনা’ বলে খাটো করেন ব্যাখ্যা দেননি তারও।

Comments :0

Login to leave a comment