যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে কার্যত কোনও কথা বলতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। বৃহস্পতিবার কমিশনে দাবি জানিয়ে বেরিয়ে আসার পর একথা বলেছেন এবিটিএ রাজ্য সম্পাদক সুকুমার পাইন। ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি জানিয়েছেন লড়াই চলবে। তিনি বলেন, কমিশনের মুখে কোন কথা নেই। আমরা বলেছি কেন ২১ লক্ষকে বাতিল করা হলো। ওএমআর শিট প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে। আমরা জানিয়ে দিয়েছি ওরা যখন কিছু করতে পারছে না লড়াই চলবে। দুর্নীতির ভারে নুইয়ে আছে এরা। রাস্তায় লড়াই চলবে, যোগ্যদের ফেরানোর জন্য লড়াই চলবে।
সুকুমার পাইন বলেন, এই দপ্তর থেকে আগেও নিয়োগ হয়েছে বামফ্রন্টের আমলে কোন দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। এই অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
এদিন যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা প্রকাশের দাবিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনে গিয়েছে এবিটি, এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই’র প্রতিনিধিদল। কমিশন দপ্তরের বাইরে বিশাল জমায়েতে শামিল রয়েছেন শিক্ষক-ছাত্র-যুবরা।
১০ জনের প্রতিনিধি দলে রয়েছে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী, এবিটিএ’র সম্পাদক সুকুমার পাইন, এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্য্যী প্রমুখ।
২০১৬’র এসএসসি পরীক্ষায় তুমুল দুর্নীতির জেরে চাকরি হারাতে হয়েছে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও। যোগ্য হলেও চাকরি হারিয়েছেন শিক্ষাকর্মীরা। কারণ সরকার, কমিশন বা পর্ষদ- হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের কোনও তালিকাই দেয়নি।
সুকুমার পাইন বলেছেন, এসএসসি ভবনই দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। সরকার পরিকল্পনা করে দুর্নীতি করেছে। এই সরকার স্কুল পরিচালন সমিতি, পর্ষদের আঞ্চলিক দপ্তর ভেঙে দিয়েছে। সব হাতে রাখার ব্যবস্থা করেছে। সরকার দুর্নীতি করার জন্য এই কাজ করেছে।’’
পাইন বলেন, ‘‘এবিটিএ বার বার বলেছে যোগ্য অযোগ্য ভাগ করো। সরকার করেনি। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নেতা, মন্ত্রী, আমলাদের শাস্তি দিতে হবে।’’
পাইন বলেন, ‘‘কেন্দ্রের শিক্ষা নীতি মেনে রাজ্যে শিক্ষা নীতি তৈরি করেছে মমতা। বড়লোকদের জন্য লেখা পড়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। সরকারি শিক্ষা কাঠামোকে ধ্বংস করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর লড়াই জারি থাকবে।’’
SSC March Delegation
যোগ্যদের তালিকার দাবিতে নীরব কমিশন, লড়াই চলবে, বললেন নেতৃবৃন্দ

×
Comments :0